আর কী বললেন?
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘ভৌগোলিক পরিসর, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নের নিরিখে আলাদা হওয়া সত্ত্বেও দুটি পড়শি দেশ যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের পথে চলতে পারে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তারই প্রমাণ। সৎ উদ্দেশ্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, একে অন্যের লক্ষ্য ও উদ্বেগের জায়গাগুলি বোঝার মধ্যে দিয়েই একাধিক জায়গায় এই সম্পর্ক আরও জোরাল হচ্ছে।’ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দহালের এই সফর ও তাঁর অবস্থানের দিকে কড়া নজর রাখছে নয়াদিল্লি। কারণ, তাঁর অতীতে চিনপন্থী ও ভারত-বিরোধী মনোভাব চিন্তা বাড়িয়েছিল নয়াদিল্লির। পরে অবশ্য সেই ছবিতে বদল ঘটে। কিন্তু তার মধ্যে ভারত-নেপাল সম্পর্কেও বড়সড় পরিবর্তন এসে যায়। ২০২০ সালের মে মাসে,কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরার মতো ভারতীয় ভূখণ্ডকে নেপাল নিজেদের মানচিত্রে ঢোকানোর চেষ্টা করলে তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত। এই নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র এবং নতুন জাতীয় প্রতীক নির্ধারণে দেশের সংবিধান সংশোধনে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনও দিয়ে দেয় নেপালের পার্লামেন্ট। এ নিয়ে নেপাল-ভারত সম্পর্কে চিড় ধরে। সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে অনড় ছিল নয়াদিল্লি। পরে অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ কিছুটা হলেও গলেছিল।
কিন্তু নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের এহেন মন্তব্য মোটেও সাধারণ ভাবে দেখতে নারাজ কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বাণিজ্য নাকি…?
প্রচণ্ড আরও বলেন, ‘বাণিজ্য জোরদার করার, বিশেষত চিনে রফতানি বাড়ানোর নানা চেষ্টা করছে নেপাল। দেশের প্রোডাক্টটিভ ক্যাপাসিটি, নির্মাণ পরিকাঠামো এবং মানোন্নয়ন বিচারের ব্যবস্থা আরও বিশদ করার করে এই লক্ষ্য ছোয়া যেতে পারে।’ চা, ভেষজ ঔষধ, সাইট্রাস খাবার, মোষের মাংস, সুতো, কফি এবং আদার মতো পণ্যের রফতান বাড়ানোর দিকে তাই নজর দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। সে জন্য প্রযুক্তিগত বাধা কমিয়ে সুনির্দিষ্ট পণ্যের প্রতি নজর দেওয়া দরকার, মনে করেন তিনি। প্রচণ্ড এও জানান যে, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সব মিলিয়ে নেপাল-চিন সম্পর্কে নয়া মোড়ের ইঙ্গিত।
(Feed Source: abplive.com)