ম্যাচ শেষে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘এই তো সবে মরশুম শুরু হল। আমাদের এখনও অনেক কিছুতেই উন্নতি করতে হবে। তবে দলের খেলোয়াড়রা যে উদ্যম নিয়ে মাঠে পারফর্ম করেছেন, তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমরা বেশ কয়েকটি ভাল সুযোগ তৈরি করেছিলাম। আমার মতে তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যা যা করণীয়, আমরা সবটাই করেছি। আক্রমণের সময় দারুণ দারুণ জায়গা নিয়েছেন ফুটবলাররা। তবে দিনের শেষে এটাও বুঝতে হবে অন্যদিকের দলটিও পরিকল্পনা তৈরি করে, জয়ের উদ্দেশ্যেই মাঠে নেমেছে।’
ডুরান্ড কাপে রক্ষণভাগে প্রভাবিত করা দুই ইস্টবেঙ্গল তারকা লালচুংনুঙ্গা ও জর্ডন এলসের কেউই কালকের ম্যাচে খেলেননি। লালচুংনুঙ্গা আপাতত জাতীয় দলের সঙ্গে এশিয়ান গেমসে রয়েছেন। অপরদিকে, ডুরান্ড কাপ ফাইনালে চোট পাওয়া এলসে বেশ কিছুদিনের জন্য মাঠের বাইরেই থাকবেন। পরিবর্তিত ডিফেন্স নিয়ে মাঠে নেমেও এসেছে ক্লিনশিট। সেই কারণেই বেশ খুশি লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ। পাশাপাশি একাধিক গোলের সুযোগ হাতছাড়া হলেও, সেটা খেলারই অঙ্গ বলেই মনে করেন কুয়াদ্রাত।
এদিন দলের তারকা ফরোয়ার্ড তথা গত মরশুমে ক্লাবের সেরা ফুটবলার হওয়া ক্লেটন সিলভা (Cleiton Silva) শুরু থেকে খেলেননি। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবেই মাঠে নামেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার বাকিদের থেকে বেশ খানিকটা সময় পরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তবে ক্লেটন শীঘ্রই প্রথম একাদশে ফিরবেন এবং তিনি যাতে দ্রুতই ম্যাচ ফিট হতে পারেন, সেই কারণে খাটা খাটনিও করা হচ্ছে বলে জানান লাল হলুদ কোচ।
‘ও ধীরে ধীরে ফিট হচ্ছে। আসলে ও অনেকটা পরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ডুরান্ড কাপে অল্প কিছু মিনিটই খেলার সময় পেয়েছে ক্লেটন। আমাদের সিংহভাগ ফুটবলার যেখানে ৭০০ মিনিটেরও অধিক সময় খেলে ফেলেছে, সেখানে ও মেরেকেটে ৩০০ মিনিট খেলেছে হয়তো। ম্যাচ ফিট হতে তো সময় লাগে। আমরা কিছু অনুশীলন ম্যাচ খেলে ওকে ম্যাচ ফিট করার চেষ্টা করছি। ও প্রচুর খাটছে এবং শীঘ্রই তৈরিও হয়ে যাবে। আমাদের যখন মনে ও প্রথম একাদশে থাকতে পারে, তখনই ওকে একাদশে সুযোগ দেওয়া হবে’ বলেন কুয়াদ্রাত। আসন্ন শনিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ খেলতে নামবে লাল হলুদ।
(Feed Source: abplive.com)