ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিপাকে কানাডা? কোনও দেশই পাশে দাঁড়াচ্ছে না

ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিপাকে কানাডা? কোনও দেশই পাশে দাঁড়াচ্ছে না

নয়া দিল্লি: ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এখন কি একা অবস্থানে পড়ে গিয়েছে কানাডা? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রায় ১ সপ্তাহ আগে ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার পার্লামেন্টে সুর চড়িয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার পরে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছি দিল্লি। পার্লামেন্টে ট্রুডোর বিস্ফোরক বক্তব্যের কয়েকদিন পরেও ‘ফাইভ আইজ’ গোয়েন্দা জোটে তার সহযোগীরা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে সাধারণ বিবৃতি দিলেও, সবার কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পায়নি।

ফাইভ আইস অ্যালায়েন্স হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি, আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ভারতের বিরুদ্ধে ট্রুডোর অভিযোগ উস্কে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তা সত্ত্বেও ওয়াশিংটন এই ইস্যুতে নয়াদিল্লিকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করা থেকে বিরত রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা ছাড়া আমেরিকা কোনও পক্ষ নেবে না। এর কারণ, নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করতে চায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই অবস্থান গ্রহণ করেছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর অভিযোগের জবাবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন যে তাঁর দেশ কানাডার মতামতকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। প্রায় একই ভাষায়, অস্ট্রেলিয়াও বলেছে যে তারা এই অভিযোগে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমেরিকার মতো দেশগুলির প্রতিক্রিয়ার ভাষা আবার অনেকটাই মৃদু।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডার আভ্যন্তরীণ এই বিষয়ে সরাসরি কোনও হস্তক্ষেপ করতে চায় না পশ্চিমী দেশগুলি। তার কারণ অবশ্যই চিন। চিন ক্রমশ অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশে পরিণত হচ্ছে। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র দেশগুলি একটি কৌশল তৈরি করেছে, যা প্রধানত ভারতকে কেন্দ্র করে। যাতে ভারত চিনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গে ভারতও কোয়াড গ্রুপের একটি অংশ। এই নিরাপত্তা জোট বারবার ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে চিনকে নিশানা করে আসছে।

(Feed Source: news18.com)