যাদবপুর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আপাতত পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন পড়ুয়াকে আপাতত ক্যাম্পাস ও হস্টেলে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে একমত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা। পুলিশের কাছে ক্লিনচিট না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে ঢুকতে পারবেন না। মঙ্গলবারের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক সম্পূর্ণ না হতে পারায় অসম্পূর্ণ এই বৈঠক ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ফের ডাকতে পারে কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
যাদবপুর বিশ্বাবিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে বাংলার প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকেই যত কাণ্ড শুরু হয়৷ সেখানে বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার জড়িয়ে থাকার অভিযোগ করা হয়৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে৷ তদন্তের পর এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এ বার সেই ১২ জন পড়ুয়ার ক্যাম্পাসে ঢোকা ও হস্টেলে ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা থামার এখনই কোনও লক্ষণ নেই৷ গত ১২ ঘণ্টায় আরও ১২ জন জ্বরে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৬ জনের বেশি ক্ষেত্রে ডেঙ্গির সন্দেহ করা হচ্ছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত যদিও এখনও নিশ্চিত নয়। তিন জন পড়ুয়া আজ নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে আরও তিন জন হাসপাতালে ছিলেন। সবমিলিয়ে মোট ৬ জন যাদবপুরের পড়ুয়া হাসপাতালে ভর্তি।
সবমিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ অবস্থা ডেঙ্গির। এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে গত রাতে নজিরবিহীন ভাবে মেডিক্যাল অফিসার এবার অবিলম্বে ক্লাস সাসপেন্ডের দাবি রাখলেন। এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং-য়ে মেডিক্যাল অফিসার বলেন, “যা অবস্থা তাতে অবিলম্বে যাদবপুরের ক্লাস সাসপেন্ড করা হোক।”