‘আলোচনা না করেই মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা তৈরি’, জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ BJP বিধায়কের

‘আলোচনা না করেই মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা তৈরি’, জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ BJP বিধায়কের
শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) আর বেশি দেরি নেই। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেের ছবি ধরা পড়ছে গেরুয়া শিবিরে। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় সেই ছবি দেখা গেছে। আর এবার বনগাঁ। এবার সরব হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার (Haringhata BJP MLA Asim Sarkar)। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি বিধায়ক। সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি অসীম সরকারের।

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় নতুন সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর নতুন মণ্ডল কমিটি গঠন হয়েছে। বিভিন্ন মণ্ডলের সভাপতি বেছেছেন জেলা সভাপতি। সে বিষয়ে সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক। গতকাল সামাজিক মাধ্যমে এবিষয়ে সরব হন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আজ ২৭ তারিখে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোনও আলোচনা করা হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন অসীম সরকার। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার বলেন, “হঠাৎ জেলা কমিটি প্রকাশিত হয়ে গেল। তখন সবার মনে একটা ক্ষোভ। আমার উপরেও একটা চাপ, তাহলে অসীম সরকারই শুনেছি ঠাকুর মশাইয়ের খুব প্রিয়, দেবদাস মণ্ডলকে আনার পক্ষে উনি গিয়ে সওয়াল করলেন। তখন দেবদাস দা-কে বললাম, এটা কী করলেন ? কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না। তখন বললেন, যেটা হয়ে গেছে হয়ে গেছে, মণ্ডল যখন আমরা করব ২৭ তারিখে ঠাকুর মশাইয়ের বাড়িতে বসে একটা আলোচনার মাধ্যমে করব। আমি দিল্লিতে ঠাকুর মশাইয়ের সঙ্গে ছিলাম। ঠাকুর মশাইও বললেন, ২৭ তারিখে আসছি। তোমাদের নিয়ে বসব। তার পরে মণ্ডল সভাপতি নির্ধারণ হবে, পরিবর্তন হবে কি হবে না। আবার দেখলাম, ২৫ তারিখে মণ্ডলও বেরিয়ে গেছে। এইবার তো সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে চারিদিকে। সাতটা বিধানসভাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে। যাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধিতা করেছেন, বিজেপিকে ভোট দিতে মানা করেছেন, সেইসব লোককে নেওয়া হয়েছে। এবার সব আমার উপরে দোষ চাপাচ্ছে। এইজন্য ফেসবুকে পরিষ্কার কথাগুলো লিখেছি।”

এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এটা অনভিপ্রেত আমাদের মতো দলের। নিঃসন্দেহে আমাদের উত্তর দিতে একটা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। অসীমবাবু একজন প্রবীণ মানুষ। কবিমনস্ক। কবিই তিনি, প্রতিষ্ঠিত কবি। সরলতা তাঁর মধ্যে একটু বেশি। সেইজন্য তিনি এটা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছেন। বা, ফেসবুকে লিখে দিয়েছেন। এটা দলের মধ্যে বললে ভাল করতেন। তবে, উনি যখন বলেছেন, নিঃসন্দেহে দল সেটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। কী পরিস্থিতিতে তাঁকে এটা বলতে হল, সেটাও দল দেখবে। আশা করব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অসীমবাবু তাঁর মতামত দলের মধ্যেই রাখবেন।”

(Feed Source: abplive.com)