রাস্তা চাই না, উপাচার্যের পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিশ্বভারতীর আশ্রমিকদের

রাস্তা চাই না, উপাচার্যের পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিশ্বভারতীর আশ্রমিকদের

বীরভূম: বোলপুরের বিশ্বভারতীকে রাস্তা না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এবার চিঠি দিলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকেরা। তাঁদের দাবি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনকে মুক্ত আকাশে দেখতে চেয়েছিলেন সর্বত্রই। তবে বর্তমানে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চতুর্দিকে প্রাচীর দিয়ে বিশ্বভারতীকে রুদ্ধ করে দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর রাস্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তারপর পাল্টা চিঠি দিলেন আশ্রমিকেরা। সম্প্রতি ইউনেস্কো শান্তিনিকেতন আশ্রমকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে। সেই জন্য উপাসনা গৃহের সামনে থেকে কালিসায়র পর্যন্ত প্রায় সুদীর্ঘ ৩ কিলোমিটার রাস্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

কারণ এই তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই দিকে একাধিক ঐতিহ্যবাহী ভবন ও স্থাপত্য রয়েছে। তবে এই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে কম্পন থেকে সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।সেই কারণেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে দেওয়ার আর্জি জানান উপাচার্য। এরপরই পাল্টা চিঠি দিয়ে রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে না দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন আশ্রমিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।

এছাড়া উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তাটি যখন বিশ্বভারতীর কাছে ছিল তখন প্রায় আশ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাতায়াত করতে বাধা দেওয়া হত। পুনরায় রাস্তা পেয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ আবার এমন কাজ করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। এ বিষয়ে কবিগুরু হস্তশিল্প ব্যবসায়ী আমিনুল হুদা বলেন, এটি রাজ্য সরকারের PWD রাস্তা। এর আগে সরকার এই রাস্তাটি বিশ্বভারতীর সম্মান রক্ষার্থে বিশ্বভারতীর হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে বিশ্বভারতী সেটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেনি এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই সরকার রাস্তাটি ফিরিয়ে নিয়েছিল। উপাচার্য রাস্তা চাইছেন তিনি পুনরায় রাস্তা পেলে আবার সেই রাস্তায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেবেন। তাই সেই রাস্তা না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

(Feed Source: news18.com)