নয়াদিল্লি : এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না আইন কমিশন। এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করতে বুধবার বৈঠকে বসে আইন কমিশন। যদিও বৈঠকের পর কমিশন জানিয়ে দিল তাদের আরও সময় প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে আইন কমিশন।
চেয়ারম্যান ঋতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বে বুধবার বৈঠকেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট দিতে পারে কমিশন। একইভাবে পক্সো আইন নিয়ে আগামীকাল রিপোর্ট দিতে পারে আইন কমিশন। পকশো আইন কার্যকর করার বয়সসীমা ১৮ থেকে ১৬ করা নিয়ে রিপোর্ট তৈরির কথা আইন কমিশনের। তৃতীয় আরেকটি বিষয় আইন কমিশনের বিচারাধীন রয়েছে। সেটি হল অনলাইনে এফআইআর দায়ের করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করা। এক দেশ এক নির্বাচন কার্যকর করতে হলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে আইন কমিশন। এছাড়াও রাজ্য সরকারে থাকা স্বীকৃত আঞ্চলিক ও জাতীয় দল, সাংসদ থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায় আইন কমিশন।
অন্যদিকে এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে সুপারিশ করতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও কমিটিতে রয়েছেন৷ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে দেশে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি প্রয়োগ করা যায় কি না, সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে চলেছে এই নতুন কমিটি৷
সূত্রের খবর, নতুন কমিটির প্রধানের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রামনাথ কোবিন্দের বাড়িতে পুষ্পস্তবক নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা৷ যদিও দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি৷ কিন্তু, কোবিন্দের সঙ্গে নড্ডার এই তড়িঘড়ি দেখা করার পরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, ‘তবে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে চলেছে?’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, একাধিক বার তাঁর বক্তব্যে ‘এক দেশ এক ভোট’-এর সপক্ষে সওয়াল করেছেন৷ তাছাড়া, ২০১৪ সালের বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে এই বিষয়টির উল্লেখ ছিল৷ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই ‘এক দেশ এক ভোট’নিয়ে সওয়াল করেছেন মোদি৷ ২০১৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে কোবিন্দের কণ্ঠেও শোনা গিয়েছিল সেই একই কথা৷
(Feed Source: news18.com)