কিংবদন্তি সেই মুথাইয়া মুরলীধরনের (Muttiah Muralitharan) বায়োপিক আসছে। যে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ৮০০। তবে কলকাতায় মুরলীধরনের বায়োপিকের প্রচারের মঞ্চে সেই নামকরণ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)!
কেন? মধ্য কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে মুরলীধরনের কাছে সৌরভ জানতে চাইলেন, ‘ওয়ান ডে-তে তোমার উইকেট যেন কত?’ মুরলী লাজুক হেসে বললেন, ‘৫৩৪।’ পাশ থেকে একজন সূত্রধরের মতো বলে উঠলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ১৩ উইকেট রয়েছে।’ সৌরভ শুনে বললেন, ‘তার মানে তো সব মিলিয়ে উইকেটের সংখ্যা অনেক বেশি। ১৩৪৭। বায়োপিকের নাম ৮০০ কেন!’
এরপরই সৌরভের কথায় ধরা পড়ল মুরলীধরনকে নিয়ে মুগ্ধতা। এক কথায় মুরলীধরনকে ব্যাখ্যা করতে হলে কী বলবেন? সৌরভ বললেন, ‘জাদুকর। ও ম্যাজিশিয়ান।’ যোগ করলেন, ‘আমার বেশ মনে পড়ছে দুটো ঘটনার কথা। রাহুল দ্রাবিড় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটা ম্যাচে ব্যাট করার সময় আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, মুরলীধরনকে কভার ড্রাইভ মারব কীভাবে? আমি বলেছিলাম, কোনও দরকার নেই। স্ট্রাইক রোটেট করে যাও। আর একবার শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ামাত্র হোটেলকর্মী বলেছিলেন, আপনারা ভাল দল। তবে আমাদের মুরলীধরন রয়েছে। এটাই বাস্তব ছিল। শ্রীলঙ্কা মানে ছিল মুরলীধরন। মুরলীধরন মানে শ্রীলঙ্কা।’
পারস্পরিক শ্রদ্ধার ছবি ফুটে উঠল, যখন মুরলীধরন শোনাচ্ছিলেন, ‘স্পিনারদের বিরুদ্ধে বরাবর দুরন্ত রেকর্ড সৌরভের। আজহারউদ্দিনের পরবর্তী অধ্যায়ে ভারতীয় দল যখন সমস্যায় ছিল, সৌরভ সেই সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। কারণ ধোনিকে তৈরি করা দল তুলে দিয়েছিল সৌরভ।’ যোগ করলেন, ‘১৯৯৯ বিশ্বকাপে টনটনে কী ইনিংসই না খেলেছিল সৌরভ। রাহুল ও সৌরভ সেঞ্চুরি করেছিল।’
সৌরভ বললেন, ‘সেই ম্যাচে আমরা ৩৭৩ রান তুলেছিলাম। অথচ ১০ ওভারে মাত্র ৬০ রান খরচ করেছিল মুরলী। তার থেকেই বোঝা যায় বোলার হিসাবে ও কতটা দক্ষ।’
(Feed Source: abplive.com)