ঘুম যদি নাই ভাঙে? বিক্রম, প্রজ্ঞানকে ছেড়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে ISRO

ঘুম যদি নাই ভাঙে? বিক্রম, প্রজ্ঞানকে ছেড়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে ISRO

সফল ভাবে চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠে নেমেছিল বিক্রম। তারপর প্রজ্ঞানও কাজ করেছে চাঁদের মাটিতে। কিন্তু ১৪ দিন পর ঘুমিয়ে পড়েছে তারা। পৃথিবী থেকে হাজার ডাকাডাকিতেও তাদের সাড়া মিলছে না। চাঁদের পিঠে একবার ঘুমিয়ে পড়লে আর জাগানো যাবে কি না বিক্রম, প্রজ্ঞানকে, সেটাই ছিল লাখ টাকার প্রশ্ন! আপাতত জাগানো যাচ্ছে না তাদের। কিন্তু তাতে খুব একটা অসুবিধা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সোমনাথ বলেন, চন্দ্রযান ৩-এর রোভার এই মুহূর্তে ‘স্লিপ মোড’-এ রয়েছে। তবে এই অভিযান থেকে যতটুকু আশা করা গিয়েছিল, সেটা করে দেখাতে পেরেছে বিক্রম, প্রজ্ঞান।

যদিও এখনই হতাশ হতে নারাজা সোমনাথ। তিনি দাবি করেন রোভারের ইলেকট্রনিক সার্কিট ইতিমধ্যেই বিকল হয়ে না গেলে, আবার জেগে উঠবে সেটি। তবে চরম আবহাওয়ায় যন্ত্রাংশ বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। চাঁদের মাটিতে শূন্যের নিচে প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যায় উষ্ণতা।

সোমনাথ বলেন, ‘রোভারের কাজ যথেষ্ট ভালভাবে করতে পেরেছে সেটি। আর না জাগলেও কোনও অসুবিধা নেই।’

চাঁদের মাটিতে সূর্যোদয়ের পরই রোভার এবং ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ISRO। পৃথিবীতে ১৪ দিনের সমান চাঁদের একটি দিন। সেপ্টেম্বরের শুরু দিকে চাঁদে রাত নেমে আসে। আর তখনই স্লিপ মোডে চলে যায় চন্দ্রযান ৩। তারপর ISRO চেয়েছিল প্রজ্ঞান ও বিক্রমের ঘুম ভেঙে ওঠার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সিগন্যাল তারা পাঠায়নি।

গত ২৩ অগাস্ট ২০২৩ তারিখে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করেছিল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার এবং রোভার। ১৪ দিনের মধ্যে, অন্ধকার নেমে যাওয়ার আগে কাজ সেরে ফেলাই তাদের লক্ষ্য ছিল। ১,৭৫২ কেজি ওজনের ল্যান্ডার এবং রোভারটি এমন ভাবে তৈরি করা যাতে সেগুলি চাঁদের দিবালোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে।

ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, তাঁরা এবার ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন। আগামী নভেম্বর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই XPoSat বা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট লঞ্চ করতে চাইছেন তাঁরা। ডিসেম্বরেই লঞ্চ করার কথা INSAT 3DS। এটি একটি জলবায়ু সংক্রান্ত উপগ্রহ।

(Feed Source: news18.com)