চাকরির পরীক্ষায় ‘লক্ষ্যভেদের’ জন্য জঙ্গলমহলে বিশেষ ট্রেনিং শুরু পুলিশের

চাকরির পরীক্ষায় ‘লক্ষ্যভেদের’ জন্য জঙ্গলমহলে বিশেষ ট্রেনিং শুরু পুলিশের

পুলিশের উদ্যোগে এবার জঙ্গলমহল জুড়ে শুরু হল চাকরির পরীক্ষার জন্য ফ্রি অনলাইন কোচিং ক্লাস এই ক্লোজ কোচিং ক্লাসের মাধ্যমে সেই অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের কোচিং দেবে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকারা ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে পারিশ্রমিক। জেলা পুলিশের উদ্যোগেই ঝাড়গ্রাম জেলায় চালু হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ শিবির। তবে সামনাসামনি নয়, অনলাইন মাধ্যমেই লক্ষ্যভেদ নামক এই প্রশিক্ষণ প্রকল্পটি চালু করেছে পুলিশ প্রশাসন গ্রামাঞ্চলের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কোচিং দেওয়ার জন্য কলকাতা ও দিল্লি থেকে পাঁচটি সংস্থার বিশেষজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকারা রয়েছেন।

ঝাড়গ্রামের এসপি অরিজিৎ সিনহা এই অঞ্চলে এসে জঙ্গলমহলের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য কম্পিটিটিভ পরীক্ষার প্রস্তুতির উদ্যোগ নেন। এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয় ‘লক্ষ্যভেদ’। একটা সময় এই কর্মসূচি গুরুত্ব হারালেও ফের গত বছর থেকে এসডিপিও, ডিএসপি ও ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররা অফলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন। আবার নতুন করে এই কর্মসূচি গতি পায়। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গ্রুমিং, ইন্টারভিউ সেশন চালু করা হয় এই প্রকল্পে। এই ফলে উপকৃতও হন ছাত্রছাত্রীরা।

এই প্রশিক্ষণ শিবিরের ছাত্র স্নেহাশিষ এই প্রসঙ্গে বলেন,‘কলকাতায় গিয়ে কম্পিটিটিভ পরীক্ষার জন্য লক্ষাধিক টাকা দিয়ে পড়ার মতো আমার পরিবারে সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই। সেখানে জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিনামূল্যে কোচিং এর সুবিধা পাওয়াটাই আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে বিরাট স্বপ্ন।’ প্রান্তিক গ্রামীণ অঞ্চলে এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবিরের গুরুত্ব নিয়ে মতামত জানান আরও একজন শিক্ষার্থী। নয়াগ্রামের সঞ্চিতা এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘বোটানিতে এমএসসি করে এখন বিএড করছি। কম্পিটিটিভ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করব ভেবেছিলাম। তখনই পুলিশের লক্ষ্যভেদ কর্মসূচির কথা জানতে পারি। আমাদের মতো প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়াদের অত টাকা খরচ করে কলকাতা বা দিল্লিতে গিয়ে ক্লাস করা খুবই অসুবিধার ব্যাপার। অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করায় খুবই উপকার হয়েছে।’

ফলে সার্বিক ভাবেই এই ধরনের উদ্যোগ হাসি ফুটিয়েছে ঝাড়গ্রামের জেলার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। ‘লক্ষ্যভেদ’ প্রকল্পটি সম্পর্কে সেই অঞ্চলের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘এই কর্মসূচির সুবিধা হল, জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও যুবকযুবতীরা গুগুল মিটের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ক্লাস করতে পারবেন। এর ফলে তাদের যাতায়াত ও থাকার খরচ বাঁচবে। ঘরে বসেই বিভিন্ন সংস্থার প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে পড়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে ঝাড়গ্রামের যুবক-যুবতীরা আরও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।’

(Feed Source: hindustantimes.com)