‘অধিকার যেন ছিনিয়ে আনতে পারি, মানুষের পাশে দাঁড়ান’, ‘দিল্লি চলো’র আগে হুঙ্কার অভিষেকের

‘অধিকার যেন ছিনিয়ে আনতে পারি, মানুষের পাশে দাঁড়ান’, ‘দিল্লি চলো’র আগে হুঙ্কার অভিষেকের
কলকাতা : কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের দিল্লি চলো অভিযান নিয়ে শনিবাসরীয় দুপুরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee )। ফের দিলেন হুঙ্কার। বললেন, ‘অনুমতি না দিয়ে, ট্রেন আটকে, ইডিকে দিয়ে নোটিস পাঠিয়ে তৃণমূলকে রোখা যাবে না’।

শুক্রবার এক্স প্ল্যাটফর্মে অভিষেক বলেছিলেন, স্টপ মি ইফ ইউ ক্যান… পারলে রুখে দেখাও। শনিবারও তাঁর গলায় সেই হুঙ্কার। কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে অভিষেক বললেন, এটা নতুন ভোরের সূচনা, বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’। অভিষেক আরও বলেন, ‘ বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ সোচ্চার হয়েছে। মানুষ ভোট দিয়েছে। ২০২১ সালের পর যা নির্বাচন হয়েছে বিজেপি ( BJP ) মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২ অক্টোবর, দিল্লিতে আন্দোলন করার জন্য চিঠি লিখেছিলাম, সর্বত্র আমাদের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। কোনও বাধা আমাদের সংকল্পকে দমন করতে পারেনি।’

১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে তৃণমূলের ( TMC )এই দিল্লি চলো অভিযান। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর  দিল্লিতে ধর্নায় বসবে তৃণমূল। বাংলার ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। আর তার জন্য ৩-৪ হাজার জন জেলা জেলা থেকে এসে জড়ো হয়েছেন। তাঁরাই দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদে বসবেন।

তাঁর আগে তৃণমূল কর্মী ও বাংলার মানুষের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, ‘ ইতিমধ্যেই কীভাবে বাংলার মানুষের আন্দোলন করার অধিকার দিল্লির সরকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে। ঘর দেব না, বাড়ি দেব না, রাস্তা দেব না, জল দেব না ১০০ দিনের টাকা দেব না, আর প্রতিবাদ করার অধিকারও দেব না। যে বিশেষ ট্রেনের আয়োজন করা হয়েছিল, তাদের সেই অধিকার কেন্দ্রীয় সরকার ছিনিয়ে নিয়েছে, শেষ মুহূর্তে এসে বলছে আমরা ট্রেন দিতে পারব না।’

ট্রেন না পেয়ে ইতিমধ্যেই বাসে চেপে দিল্লি রওনা দিয়েেছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মী -সমর্থকরা। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা,  ‘ বিজেপির প্রত্যেক নেতাকে বলছি, এটা তৃণমূলের কর্মসূচি নয়, মানুষের কর্মসূচি। ২-৩ অক্টোবর, মানুষের জন্য রাস্তায় নামুন। অধিকার যেন ছিনিয়ে আনতে পারি, মানুষের পাশে দাঁড়ান। ‘

ইডির তলবে না গিয়ে দিল্লির কর্মসৃচিতেই আগামী ৩ তারিখ থাকবেন অভিষেক জানিয়েছিলেন আগেই। তাঁকে কটাক্ষ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ইডি কেন ডেকেছে সবাই জানে, আইন সবার জন্য সমান। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। যাকে ডেকেছে তিনি যাবেন কি না সেটা তাঁর বিষয়। না গেলে কী করা উচিত সেটা এজেন্সির বিষয়। এজেন্সি সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করলে কোর্ট কী করবে ভবিষ্যৎ বলবে। মিথিলেশ মিশ্রকে সামনে রেখে ইডির গরিমাকে ক্ষুণ্ণ করা যাবে না। ইডির কাজের পদ্ধতি সুপ্রিম কোর্টে স্বীকৃতি পেয়েছে’। এছাড়া তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’ উ্দ্যোগকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘প্লেন ভাড়া করে যাক তৃণমূল, পিসি-ভাইপো চার্টার্ড ফ্লাইটে যাতায়াত করেন। রাজ্যে ৫০ লক্ষ মানুষ বাড়ি পেয়েছে, সেই হিসেব দিক রাজ্য’

অন্যদিকে আবার  তৃণমূলের দিল্লির ধর্নার দিনই বাংলায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি মহিলা মোর্চা। সব মিলিয়ে গাঁধী জয়ন্তীতে তৃণমূলের মিশন দিল্লি নিয়ে এখন থেকে চড়ছে পারদ।

(Feed Source: abplive.com)