পশ্চিমবঙ্গ: বিজেপি সাংসদ সরোজ পান্ডে বলেছেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনামলে মহিলাদের উপর অত্যাচার

পশ্চিমবঙ্গ: বিজেপি সাংসদ সরোজ পান্ডে বলেছেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনামলে মহিলাদের উপর অত্যাচার

বিজেপি সাংসদ
– ছবি: আমার উজালা

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সহিংসতার তদন্ত করতে আসা বিজেপি মহিলা সাংসদের আহ্বায়ক সরোজ পান্ডে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনামলে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় নারীরা অত্যাচারের শিকার হন। এমনকি নারী ও শিশুরাও রেহাই পায়নি। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে কোনো শূন্যতা নেই।

আগে নিজেদের রাজত্ব সামলাতে হবে, তারপর অন্য স্বপ্ন দেখতে হবে। যে নিজের রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হিংসা থামাতে পারেনি তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেন, বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ধরনের হিংসা হয়েছে তা অমানবিক। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে যেভাবে নারী ও শিশুদের ওপর হামলা হয়েছে তা অসহনীয়। তিনি বলেন, ওই দিন পুলিশ সদস্যরা থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, এই সহিংসতার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী দায়ী, পুলিশ বা প্রশাসন নয়। জনগণ তাদের নির্বাচিত করেছে, তাই দায়িত্বও তাদের।

বঙ্গীয় পঞ্চায়েত সহিংসতা নিয়ে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা দ্বারা গঠিত মহিলা সাংসদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বাংলা সফরে রয়েছে এবং তারা জনগণের সাথে কথা বলছে। কমিটিতে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের সরোজ পান্ডে (আহ্বায়ক), রমা দেবী (এমপি), অপরাজিতা সারঙ্গী (এমপি), কবিতা পতিদার (এমপি) এবং সন্ধ্যা রায় (এমপি)।

বিজেপির মহিলা সাংসদদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা বুধবার হাওড়া গ্রামীণ জেলার আমতা বিধানসভার আমড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের কাকরোল গ্রামের বিজেপি প্রার্থী ঝুমা রায় এবং কল্পনা রায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভোট গণনার দিন দুজনের বাড়িতেই আগুন দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এমনকি সহিংসতার বিষয়ে কোনো এফআরআইও অনুমোদিত হয়নি

নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সরোজ পান্ডে বলেন, হিংসার নগ্ন নৃত্য হয়েছে। কেউ রেহাই পায়নি। এমনকি নারী ও শিশুরাও সহিংসতার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একজন মহিলা এবং সেই রাজ্যের মহিলারা নিরাপদ নয়। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে? তিনি বলেন, লোকজন বলেছে, ওই দিন এখানে পুলিশ মোতায়েন থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। ছয়টি বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে যায়নি। কিন্তু ঘটনার পরও এফআরআই হতে দেওয়া হয়নি। অনেক সহিংসতা হয়েছিল। দলের সদস্যরা প্রতিটি দুখারির সাথে দেখা করবেন এবং তাদের সম্পূর্ণ রিপোর্ট বিজেপি সভাপতিকে দেবেন।

রাষ্ট্র পরিচালনা করুন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন না

সরোজ পান্ডে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরুতে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। তিনি নিজের রাজ্য বজায় রাখতে না পেরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আগে বাংলার মানুষের দুঃখ-কষ্টের দিকে তাকান। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অর্ধশতাধিক মানুষ মারা গেলেও এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে, তারা তা দেখতে পাচ্ছে না। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে কোনো শূন্যতা নেই। জনসাধারণ তার মন তৈরি করেছে। ২০২৪ সালে দেশের মানুষ আবারও নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে চলেছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত সবকিছু ছেড়ে নিজের রাজ্যে মনোযোগ দেওয়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছিল তার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

(Feed Source: amarujala.com)