অভিষেক বলেন, ‘ভেবেছিলাম ৪ তারিখ রাজ্যপাল ফিরবেন, ৫ তারিখ দেখা করার সুযোগ পাব। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল, সেখানেই দেখা করতে বলেন। ডেরেককে দেখতে বলেছিলাম, দেখা গেল ৪টে পর্যন্ত শিলিগুড়িতে আছেন। আপনি ৩দিন থাকতে পারতেন, এসেই ফিরে গেলেন, রাজভবন খালি। এখন তো শুনছি উনি শিলিগুড়ি থেকে দিল্লির পথে পাড়ি দিয়েছেন।’
এরপরই ধর্না মঞ্চ থেকে হুঙ্কারের সুর শোনা যায় অভিষেকের গলায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সৌজন্য দেখিয়েছি, কিন্তু রাজ্যপালের এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে। দিল্লিতে যা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা, এর জবাব দেবে মানুষ। গায়ের জোরে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ২০ লক্ষ মানুষ, যাদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে, তাদের প্রাপ্য আটকে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার অনুরোধ করব। কেন বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে, তা জানতে চাওয়ার অনুরোধ করব’।
এদিকে ইডির পর পর নোটিস নিয়েও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আমাকে ইডি একের পর এক নোটিস দিচ্ছে। আমার মা-বাবা-স্ত্রীকে একের পর এক নোটিস, অথচ বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? ২০ লক্ষ মানুষ কী কাজ করেছে? এটা রাজ্যপালের কাছে জানতে চাইব’।
এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপালের দেখা না পাওয়া পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাব। রাজ্য সরকারের থেকেও আমার জেদ অনেক বেশি। শান্তিপূর্ণভাবে এই ধর্না চালিয়ে যাব। আজ রাত ৯টায় শেষ হবে। কাল ১১টা থেকে ফের কর্মসূচী শুরু হবে। আমি এখানেই থাকব। একচুলও নড়ব না। যা করব শান্তিপূর্ণভাবেই করব।’ রাজভবনের সামনের মঞ্চ থেকে হুঙ্কার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
(Feed Source: abplive.com)