পশ্চিমবঙ্গ
– ছবি: আমার উজালা
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও সহিংসতা থামছে না। রাজনৈতিক সহিংসতায় মানুষ অতিষ্ঠ। কোথাও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে আবার কোথাও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। একদিন আগে এক তৃণমূল কর্মীকে বেঁধে মারধরের ঘটনার পর এখন সোমবার রাতে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগের খবর। বাড়িতে ঘুমন্ত লোকজন কোনোরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, সোমবারের ঘটনা থেকে মনোযোগ সরাতে বিজেপি এই সব করেছে।
রাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। টিকাশি এলাকায় খেজুরি জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, সেই জয়কে তারা এভাবেই ‘উদযাপন’ করছে। তথ্য অনুযায়ী, উত্তম বারিক ও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা সোমবার চাটনাবাড়ি গ্রামে এসেছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, নেতাদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। এদিকে গভীর রাতে বিজেপির বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক গোপাল পালের বাড়ি ও দোকানে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে খেজুরি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। স্থানীয় তৃণমূলের লোকজনের দাবি, সোমবারের এত বড় ঘটনা থেকে মনোযোগ সরাতে বিজেপি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
খড়ের গুদামে রাখা মালামাল সরিয়ে আগুন লাগিয়ে নতুন করে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ শাসকদলের। এ পর্যন্ত রাজ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।
পেট্রোল ঢেলে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, নাটক করছে বিজেপি। সোমবার খেজুরি-১ ব্লকের টিকাশি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে এবং পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
(Feed Source: amarujala.com)