সিকিমে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে! ২ বছর আগেই সতর্ক করেছিল এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা

সিকিমে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে! ২ বছর আগেই সতর্ক করেছিল এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা

নয়া দিল্লি: একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল দুই বছর আগে এক গবেষণায় সতর্ক করেছিল যে সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদ বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। হ্রদের নিম্নাঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। ৩-৪ অক্টোবর মধ্যবর্তী রাতে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের উপর হড়পা বানে তিস্তা নদীর অববাহিকায় বন্যা দেখা দেয়। এই ঘটনায় ১৪ জন মারা যান এবং ২২ জন সামরিক কর্মী সহ ১০২ জন।

২০২১ সালে ‘জিওমরফোলজি’ জার্নালে এই সম্পর্কে বলা হয়েছিল। এতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছিল যে হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে গত দশকে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই হ্রদ থেকে বন্যা ঝুঁকি রয়েছে। হ্রদ ফেটে যাওয়ার কারণে আকস্মিক বন্যার (জিএলওএফ) ঝুঁকি বেড়েছে।

হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (NRSC) অনুসারে, সিকিমে ৭৩৩টি হিমবাহী হ্রদ রয়েছে এবং ২৮৮টি হ্রদ ৫ হাজারের মিটারেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। দক্ষিণ লোনাক হ্রদটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। লোনাক হিমবাহ গলে এই হ্রদটি তৈরি হয়েছিল।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, রুরকি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, বেঙ্গালুরু-এর গবেষকরা দেখেছেন যে এই হ্রদগুলি প্রধানত দুর্গম এবং পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত। এতে কোনও সমস্যা হলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে।

গবেষণায় অন্যান্য গবেষকরা ছিলেন, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেটন বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রিয়ার গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাদের গবেষণায়, গবেষকরা হ্রদের আকার এবং উপত্যকার ভবিষ্যতের প্রভাব গণনা করতে এবং দক্ষিণ লোনক হ্রদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। বাস্তবে দেখা গেল, সেই আশঙ্কা প্রকাশের দু বছরের মাথাতেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ল সিকিএম সহ একাধিক উত্তর পূর্বের রাজ্য।

(Feed Source: news18.com)