উৎসবের মরশুমে সুখবর, একবছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামল বেকারত্বের হার

উৎসবের মরশুমে সুখবর, একবছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামল বেকারত্বের হার

কোভিড অতিমারি এবং তার পরবর্তী সময়ে দেশে হু হু করে বেড়েছিল বেকারত্বের হার। প্রশিক্ষপ্রাপ্ত কর্মী থেকে কেরানি, উচ্চপদস্থ চারকিজীবী, দিনমজুর… অনেকেই চাকরি হারিয়েছিলেন। আর তারপর কোভিড চলে গেলেও অনেকেরই চাকরি পেতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে কোভিড বিভীষিকা পিছনে ফেলে রেখে ফের সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ। নতুন করে শক্তি বাড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এই আবহে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। আর তারই প্রতিফলন দেখা গেল সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে। সোমবার সরকার প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হল, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ফলে ভারতে কর্মসংস্থান বেড়েছে। এই আবহে গত একবছরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে দেশের বেকারত্বের হার।

রিপোর্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ত্রৈমাসিকে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬.৬ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের ত্রৈমাসিকে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। এই আবহে এবারে ০.২ শতাংশ কমেছে বেকারত্বের হার। এদিকে চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে জুন মাসের ত্রৈমাসিকে শ্রম শক্তি অংশগ্রহণের হার ছিল ৪৮.৮ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে শ্রম শক্তি অংশগ্রহণের হার ছিল ৪৭.৫ শতাংশ।

এদিকে অগস্টে বেকারত্বের হার ছিল ৮.১ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে কমে গিয়ে ৭.০৯ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে যা সর্বনিম্ন। চলতি মাসে গ্রামীণ বেকারত্বের হার ৬.২ যা আগের মাসে ছিল ৭.১১ শতাংশ। অন্যদিকে শহরের বেকারত্বের হার আগের মাসের ১০.০৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৯৪ শতাংশে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি মরশুমে বৃষ্টি হয়েছে বেশ কম। দীর্ঘকালীন গড়ের নিরিখে এই হার ছয় শতাংশ কম। তবে এর জের সইতে হয়নি কৃষিকাজকে। অন্যদিকে শহরের বেকারত্বের হার কমার পিছনে উৎসবের ভূমিকা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। আর কিছুদিন বাদেই পুজো। সেই মরশুমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মীদের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। সেই নিরিখে কমেছে বেকারত্বের হার। এদিকে আগামী বছর লোকসভা ভোট। এই সময় বেকারত্বের হার একটি বড় ইস্যু। বিরোধী দলগুলির প্রচারের মুখে মোদী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ এই বেকারত্ব। এই পরিস্থিতিতে এই পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তিততেই রাখবে কেন্দ্রকে

(Feed Source: hindustantimes.com)