কী ঘটেছিল?
বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী দেবস্মিতা পাল গত কাল অর্থাৎ বুধবার অফিস থেকে সোজা মাসির বাড়ি ফিরেছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই তাঁর পিছু নেয় জয়দীপ। জোর করে মাসিশাশুড়ির বাড়িতেও ঢোকে। পরে দেবস্মিতার মেসো অভিজিৎ বসু জয়দীপের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে ছাদে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জেনেছে পুলিশ। কিন্তু ছাদে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।জয়দীপ, তার পরই অভিজিতের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দেবস্মিতা ও তাঁর মাসি তখন নিচের ঘরে ছিলেন। চিৎকার শুনে তাঁরা বাঁচাতে গেলে তাঁদের উপরও ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্ত যুবক, এমনই দাবি যুবতীর। তিন জনকে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে, শোনা যাচ্ছে সে কথাও। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ধরে ফেলে। খবর যায় পুলিশে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ মিলনপল্লীতে দ্রুত পৌঁছে যায়,অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জখম তিনজনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে পুলিশই। তবে অভিজিৎ বসুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আর যা…
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, চুঁচুড়া মোগলটুলির বাসিন্দা দেবস্মিতা পালের সঙ্গে গত আট বছর সম্পর্ক চুঁচুড়া টালিখোলার বাসিন্দা জয়দীপ সিনহার। ২০২১ সালে তাঁরা রেজিষ্ট্রি বিয়ে করেন।দেবস্মিতা একটি বেসরকারী সংস্থায় কাজ করেন। দেবস্মিতা অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছিল জয়দীপ। তাই বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছিল দেবস্মিতা। গত কাল, বুধবার জয়দীপের সঙ্গে পুরুলিয়া থেকে ফেরেন তিনি। তার পর, কাজ শেষ করে মাসির বাড়ি যান। সেখানেই এই ঘটনা। যুবতীর মাসি, সীমা বসুর অভিযোগ, ‘ছেলেটি আমাদের বাড়ি আসত। এবার ছুরি নিয়ে এসেছিল। ওদের মধ্যে কোনও সমস্যা হয়েছিল। তাই আলোচনার জন্য ছাদে গিয়েছিল। সেখানেই ছুরি মারে।’এর আগেও সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে মর্মান্তিক ঘটনার খবর শিরোনামে এসেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে যেমন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে একরত্তি শিশুর প্রাণ গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সে বার পূ্র্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে ওই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের জেরায় খুনের অভিযোগও স্বীকার করে অভিযুক্ত।
(Feed Source: abplive.com)