বাবা দিনমজুর, আশৈশব অনটনকে সঙ্গী করেই এই আদিবাসী তরুণী আজ সফল আইএএস অফিসার

বাবা দিনমজুর, আশৈশব অনটনকে সঙ্গী করেই এই আদিবাসী তরুণী আজ সফল আইএএস অফিসার

জীবনে চলার পথে বহু প্রতিকূলতা দেখেছেন শ্রীধন্যা সুরেশ৷ প্রতিকূলতাকে হাতিয়ার করেই সাফল্য পেয়েছেন কেরলের শ্রীধন্যা সুরেশ৷ কেরলের আদিবাসী সমাজের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে আইএএস অফিসার হয়েছেন৷

কেরলের অনগ্রসর জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম ওয়ানাড়ের বাসিন্দা শ্রীধন্যা৷ তিনি আদিবাসী কুরিচ্যা সমাজের প্রতিনিধি৷ তাঁর এই সাফল্য অনুপ্রাণিত করেছে অগণিতকে৷ পেশায় দিনমজুর বাবার মেয়ে শ্রীধন্যা আশৈশব দারিদ্রের সঙ্গে পরিচিত৷ ছোট থেকেই তিনি ভেবেছিলেন একদিন সিভিল সার্ভিসে সফল হয়ে প্রশাসক হবেন৷ তাঁর লক্ষ্যপূরণের জন্য আর্থিক সাহায্য করেছেন একাধিক শুভানুধ্যায়ী৷

তাঁর নিজের কথায়, ‘‘আমি প্রান্তিক সমাজের মেয়ে৷ অনটনের মতো প্রতিকূলতার সঙ্গে পরিচিত ছোট থেকেই৷ সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার ছিল না৷’’ সাহায্যের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তফশিলি উপজাতি উন্নয়ন সংস্থা এবং আইএএস প্রশিক্ষণ দেয় এমন একটি সংস্থাকে৷

কোঝিকোড়ের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে প্রাণীবিজ্ঞানে স্নাতক হন শ্রীধন্যা৷ তার পর কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করেন অ্যাপ্লায়েড জুওলজি বা ফলিত প্রাণীবিজ্ঞানে৷

দৃঢ় প্রতিজ্ঞা তাঁকে লক্ষ্যে অবিচল রেখেছে জীবনভর৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করি৷ আমি মনে করি নিজেই নিজেকে সবথেকে ভাল ভাবে উদ্দীপ্ত করা যায়৷ সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণসাধন করাই আমার লক্ষ্য৷’’ সেই লক্ষ্যপূরণে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল শিক্ষার বিস্তার৷ মনে করেন শ্রীধন্যা৷ কারণ সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া গেলেও শিক্ষা কারওর থেকে নেওয়া যায় না৷

যাঁরা ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হতে চান, তাঁদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘নিজের লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকলে একদিন সূর্যকেও জয় করা সম্ভব৷ শীর্ষস্থানীয়দের অন্ধ অনুকরণ করার থেকে নিজের পদ্ধতি ও পন্থামতো পড়লেই সাফল্য মেলে বলে বিশ্বাস তাঁর৷

(Feed Source: news18.com)