ওড়িশার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় দিয়ে সন্তোষ ট্রফি অভিযান শুরু করে বাংলা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই আটকে গেল বাংলা। দিল্লির বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র করল তারা। এদিন লড়াই করেও জিততে পারল না বাংলার ছেলেরা। ১ পয়েন্ট নিয়ে টিম হোটেলে ফিরতে হল তাদের। যদিও তারা গত ম্যাচ জেতায় অনেকটাই আত্মবিশ্বাসে ছিল তারা। ফলে এই ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে যে আটকে যাবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।

এদিন শুরু থেকেই একে অপরকে আটকে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু কোনও ভাবেই কেউ গোলের মুখ খুলতে পারেনি। দুই দলই নিজেদের ডিফেন্সকে বেশ শক্ত করে খেলতে নামে। ফলে কেউ গোলের মুখ খুলতে পারেনি। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচে দুই দলই একাধিক গোলের মুখ দেখে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু করতে পারেনি। সন্তোষ ট্রফিতে সবচেয়ে বেশিবার হওয়া চ্যাম্পিয়নরা মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরলেন। যদিও এই ম্যাচের শুরু থেকেই ভালো ফর্মে ছিল দিল্লি।

গত ম্যাচে ২ গোল করা বাংলা এদিন একটা সময় বেশ চাপে পড়ে যায়। যদিও তারা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। তবে লাল কার্ড দেখে দিল্লি ম্যাচে খেলতে পারেননি গত ম্যাচের গোলদাতা বিজয় মুর্মু। ফলে প্রথম থেকেই খানিকটা ব্যাকফুটে ছিল বাংলা। তবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটা দেন দীপেন্দুরা। যদিও চেষ্টা সত্ত্বেও গোল করতে পারেনি বঙ্গ ব্রিগেড। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল বাংলা দলকে। যদিও এই ম্যাচে ড্র করে খুব একটা চাপে নেই বাংলা। কারণ পয়েন্ট তালিকায় এখনও শীর্ষেই রয়েছে বাংলা।

এই নিয়ে পরপর দুই ম্যাচ সকাল ৯টায় খেলতে হল বাংলাকে। সন্তোষ ট্রফির সূচি নিয়ে আগেই মুখ খোলেন রঞ্জন চৌধুরিরা। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেড় ঘণ্টা যাত্রা করে মাঠে পৌঁছতে হয়। ফলে ফুটবলারদের সঠিক ভাবে বিশ্রাম হয় না। যদিও সূচির কোনও বদল ঘটেনি। কিন্তু সে যাই হোক না কেন, প্রথম ম্যাচে ওড়িশাকে ২-০ গোলে হারানোর পর অবশেষে কঠিন প্রতিপক্ষ দিল্লির বিরুদ্ধে ড্র করল।