বার্লিনে পঞ্জিকা মেনে দেবীর আবাহন, সঙ্গে ফুড ফেস্টিভ্যালও

বার্লিনে পঞ্জিকা মেনে দেবীর আবাহন, সঙ্গে ফুড ফেস্টিভ্যালও
কলকাতা: হাতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সারা বাংলায় জোরকদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। বেশিরভাগ জায়গাতেই প্রস্ততি প্রায় শেষের দিকে। বাংলার আকাশে পুরোদস্তর শরতের আমেজ। দেশেরও নানা জায়গায় চলছে প্রস্তুতি। দেশের সীমান্ত পেরিয়ে পুজো প্রস্তুতি এবার বিদেশের মাটিতেও। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, খাঁটি বাঙালি সংস্কৃতির দুর্গাপুজো কি বিদেশের মাটিতে পাওয়া যাবে? সেই সন্দেহ মিটিয়ে দিতে পারে জার্মানির বার্লিনের এই দুর্গাপুজো। আয়োজক বার্লিনের প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন Ignite e.V.. এটি একটি অলাভজনক সংগঠন। ২০২০ সালে তৈরি হয় এই সংস্থা। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ১৪০।

বার্লিন সর্বজনীন দুর্গোৎসবের ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে এই পুজো (Durga Puja)। নিয়ম মেনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর হতে চলেছে দেবী দুর্গার আবাহন। বার্লিনের (Berlin) হ্য়াসেনহেইডের (Hasenheide) শ্রী গণেশ মন্দিরে আয়োজিত হবে এই দুর্গাপুজো। বিদেশের মাটিতে দুর্গাপুজো, কিন্তু তা হচ্ছে সব নিয়ম মেনেই। পঞ্জিকামতে সব নিয়ম মেনেই পূজিতা হবেন দেবী দুর্গা। সঙ্গে উৎসবের আবহও এক্কেবারে বাংলার মতোই। রীতি-নীতি থেকে প্রথা সবকিছুই পালিত হবে অক্ষরে অক্ষরে।

জার্মানিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত উপস্থিত থাকবেন এই দুর্গাপুজোয়। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পার্বথানেনি হরিশ (Mr. Parvathaneni Haris) উদ্বোধন করবেন এই পুজোর। অনেক সময়েই বিদেশের দুর্গাপুজো সপ্তাহান্তে আয়োজিত হয়। ছুটি মেলে না, আরও নানা অসুবিধার কারণে অনেকসময় দিনের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু বার্লিন সর্বজনীন দুর্গোৎসবে তেমনটা হবে না। নিয়ম মেনে পাঁচ দিন ধরে মহাসমারোহে চলবে দুর্গাপুজো। তার সঙ্গেই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এক এক দিনের জন্য এক একরকম থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। সেইমতোই চলছে প্রস্তুতিও। বাঙালির দুর্গাপুজো হলেও দরজা খোলা রয়েছে সবার জন্য। পুজোর কটাদিন এখানে ভিড় জমান দেশ-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু বাসিন্দা।

বাঙালির উৎসবে খাওয়া-দাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটাও থাকছে এই পুজোয়। ভারতীয় মহিলা উদ্যোগপতিরাই ব্যবস্থা করছেন ফুড ফেস্টিভ্যালের (Food Festival)। অন্তত ১০ হাজার দর্শনার্থী পুজোর কদিন এখানে আসবেন বলেই মনে করছে আয়োজকরা।

(Feed Source: abplive.com)