বিপিসিএল-এর কোচি রিফাইনারি-তে চিফ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল আর মুরুগাইয়ান। তবে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে বাধ্য হয়েছিলেন পরিবারের চাপে। তাঁর মনের সুপ্ত ইচ্ছে ছিল ডাক্তারি পড়ে চিকিৎসক হওয়া৷ সেই ইচ্ছে পূরণ হল তাঁর৷ তবে জীবন তাঁর জন্য ইচ্ছেপূরণের কাহিনি লিখেছিল অভিনব মোচড়ের সঙ্গে৷
কয়েক দশক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন মুরুগাইয়ান৷ শত প্রতিবন্ধকতাতেও তিনি নিজের ইচ্ছেকে হারিয়ে যেতে দেননি৷ এনইইটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলেন তিনি৷ পরীক্ষাও দিলেন৷ তবে তাঁর কিশোরী কন্যার সঙ্গে৷
পূর্ণ সময়ের চাকরি করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন৷ কিন্তু হার মানেননি তিনি৷ ছেড়ে দেননি সুপ্ত আশা৷ ১৮ বছরের কিশোরী কন্যার সঙ্গে নিট দিলেন তিনি৷ প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় মেয়ের সঙ্গে পড়তে বসতেন বাবাও৷ তাঁর এই স্বপ্নপূরণের দৌড়ে পাশে ছিলেন সহধর্মিনীও৷
২০২১ সালে NEET-তে মেয়ের সঙ্গে বসেছিলেন লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল আর মুরুগাইয়ান৷ শেষ পর্যন্ত একইসঙ্গে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হন বাবা-মেয়ে৷ ডাক্তার হওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরি ছেড়েছেন মধ্যবয়সি মুরুগাইয়ান৷
চেন্নাইয়ের শ্রীললিতাম্বিকে মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছেন মুরুগাইয়ান৷ মেয়ে শীতল ডাক্তারি পড়ছেন পণ্ডিচেরির বিনায়ক মিশন মেডিক্যাল কলেজে৷ কোর্স শেষে বাবা মেয়ে দু’জনেই পাবেন এমবিবিএস ডিগ্রি৷ প্রসঙ্গত এমবিবিএস পাঠরত মুরুগাইয়ানের ইঞ্জিনিয়ারিং, আইনশাস্ত্র এবং বিজনেস শাখাতেও ডিগ্রি আছে৷