ভরা পুজোয় হুঙ্কার রাজ্যপালের, ‘দুর্গা মাকে সাক্ষী রেখে’ সি ভি আনন্দ বললেন..

ভরা পুজোয় হুঙ্কার রাজ্যপালের, ‘দুর্গা মাকে সাক্ষী রেখে’ সি ভি আনন্দ বললেন..
কলকাতা: দুর্নীতি-হিংসাকে শেষ করব আমরা, হুঙ্কার রাজ্যপালের (Governor)। ‘আসুন দুর্গা মাকে সাক্ষী রেখে শপথ নিই, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। হিংসার বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে’, হিংসা-দুর্নীতির বিরুদ্ধে (corruption and violence) সবাইকে একসঙ্গে লড়াই করার ডাক রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের।

দুর্গা পুজোয় উৎসবের আবহে গতকাল রাজভবন ছেড়ে রাজপথে নামেন রাজ্যপাল। পৌঁছে যান কুমোরটুলিতে, সেখানে মৃৎশিল্পীদের কাজ দেখেন সি ভি আনন্দ বোস। একাধিক শিল্পীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের হাতে রাজভবনের তরফে উপহারও তুলে দেন তিনি। রাজ্যপালের হাতেও, তাঁদের তৈরি মূর্তি উপহার হিসেবে তুলে দেন শিল্পী পরিবারের সদস্যরা।রাজ্যপাল বলেন, ‘মা দুর্গা সবাইকে শক্তি দেয়। শক্তির উৎস। কলকাতার পুজো দারুণ ব্যাপার। দারুণ ফিলিং।’

কুমোরটুলিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময়, রাজ্যপালের সামনে আচমকা জয় বাংলা স্লোগান দেন কয়েকজন। পাল্টা আরেকদিক থেকে ‘জয় মা দুর্গা’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে।কুমোরটুলি থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল সোজা চলে যান একডালিয়া এভারগ্রিনে, যা বরাবরই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো হিসেবে পরিচিত। একডালিয়া এভারগ্রিন সূত্রে খবর, সোমবার এই পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই এদিন একডালিয়ার পুজো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন সি ভি আনন্দ বোস।

অপরদিকে, চব্বিশের লোকসভার আগে রাজনীতি নিয়ে কিছু বলবেন না বলেও, এশহরে ‘ফের আসার’ বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেখানেই মাস্টারস্ট্রোক। মূলত ফের এসে যে রাজনীতির কথা বলবেন। তা নিয়ে জানান দিয়ে গেলেন শাহ। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, ‘বাংলায়  পরিবর্তন আনবেন’, মূলত ছুঁয়ে গেলেন সেকথাই। সবমিলিয়ে বাঙালির দুর্গাপুজোতেও এবার পিছু না ছাড়ল না ভোট-রাজনীতি।

এদিন অমিত শাহ বাংলার সকলে দুর্গাপুজোর ‘শুভকামনা’ জানিয়ে বলেন, সকালে গুজরাত থেকে বেরিয়ে, ছত্তিশগড় হয়ে শেষঅবধি বাংলায় এসেছি। শুধুমাত্র মা দুর্গার আশীর্বাদ নিতেই এসেছি।..দীপাবলির থেকেও বড় উৎসব এই দুর্গাপুজো’, গোটা দিনের জল্পনা উসকে দিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘আজ আমি কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি, আমি পশ্চিমবঙ্গে ফের আসব, রাজনীতির কথাও বলব, আর এখানে পরিবর্তন করার জন্য পুরো জোর লাগাবো।’ এর পরেই শাহের সংযোজন, কিন্তু আজ , ‘আমি কেবল, যে রামমন্দির অযোধ্যায় তৈরি হতে চলেছে, জানুযারিতে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির আগেই, উত্তর কলকাতার প্যান্ডেলে রামমন্দিরের উদঘাটন কলকাতাবাসী করে দিয়েছে।এই জন্য ওদের শুভকামনা জানাই।’

(Feed Source: abplive.com)