মালদহ: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলায় প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মারধর করে খুনের পর আত্মহত্যার ঘটনা সাজাতে মৃতের দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি আত্মীয়দের। মালদহের চাঁচলের শঙ্করতলা গ্রামে চাঞ্চল্য। ঘটনায় আটক অভিযুক্ত স্ত্রী। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত নারায়ণ দাস (৩৫) পেশায় ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক। আজ সকালে বাড়ির বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, নারায়ণের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে যুক্ত। এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। এর আগে একবার ঘর ছেড়ে চলেও যান তিনি। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।
এ দিন সকালে বাড়ির বারান্দায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হলেও নারায়ণের শরীরে ও চোখে একাধিক ক্ষত রয়েছে বলে দাবি আত্মীয়দের। এর পরেই খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয় পরিবার পরিজন। আটক করা হয় স্ত্রীকে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে মৃতের আত্মীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে মারধর করে সূচ দিয়ে নারায়ণ নামে ওই যুবকের চোখ ফুটো করে দেওয়া হয়৷
আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা জানান, বোনের চিকিৎসার জন্য গতকাল দিনভর মালদহ শহরে ছিলেন নারায়ণ। রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়েন। সকালে নারায়ণ আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবার ও প্রতিবেশীদের জানায় স্ত্রী। তখনই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয় স্ত্রীকে। অসংলগ্ন উত্তর দিতেই পুলিশের খবর দেন এলাকার লোকজন।আত্মীয়দের দাবি, আত্মহত্যা নয় খুনের ঘটনা হয়েছে। এই খুনে স্ত্রী ছাড়াও বাইরের লোকের হাত রয়েছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন আত্মীয় পরিজন।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। খুন না আত্মহত্যা, প্রাথমিক রিপোর্টে সে সম্পর্কে কী সূত্র মিলছে তা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দোষী হলে কেউই রেহাই পাবে না
(Feed Source: news18.com)