শিশু পড়াশোনায় অমনোযোগী? এই কয়েকটা ফল-ই করবে বাজিমাত, পড়ায় মন বসবে একরত্তির

শিশু পড়াশোনায় অমনোযোগী? এই কয়েকটা ফল-ই করবে বাজিমাত, পড়ায় মন বসবে একরত্তির

অনেক শিশুই লেখাপড়ায় মনোযোগী নয়। সেজন্য তাঁদের পরীক্ষার ফলাফলও ভাল হয় না। ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে নিয়মিত চিন্তা করতে থাকেন বাবা, মা। এমনকী এই কারণে অতিরিক্ত বকাবকিও করা হয়ে থাকে শিশুদের। তাতে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু কেন এমন হয়! কেন শিশুদের মধ্যে মনোসংযোগের অভাব দেখা দেয়! তা নিয়ে আমরা কখনও ভাবি না। আসলে এর পিছনে নানা ধরনের কারণ থাকতে পারে। তা যেমন মানসিক, বৌদ্ধিক তেমনই শারীরিকও হতে পারে। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকা থেকে শিশু যথাযথ পুষ্টি পাচ্ছে কিনা তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন।

শিশুর সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়মিত শুকনো ফল খাওয়া খুবই উপকারী হতে পারে। সাধারণত এগুলি খুব ভারী হয়, তাই খুব বেশি খাওয়া যায় না। মাত্রাতিরিক্ত না খেলে এগুলি ওজন বাড়ায় না।

শুকনো ফলের মধ্যে থাকতে পারে, কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, আমন্ড, খেজুর, পেস্তা, খুমানি বা অ্যাপ্রিকট, শুকনো নারকেল প্রভৃতি।

শুকনো ফলে সাধারণত থাকে নানা ধরনের ভিটামিন। তাই এই ফল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে অনেক ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। দাঁত ও চোখ ভাল থাকে।

সাধারণত ফল রোদে শুকিয়েই শুকনো ফল বানানো হয়। কোনও ভাবেই কোনও জলীয় অংশ এতে থাকে না। প্রোটিন ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ এই সব ফল শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।

শিশুর শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে শুকনো ফলের ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় শুকনো ফল থাকলে তা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

শুধু শিশুরাই নয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও এই খাবার খুব উপকারী। এতে ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের রোগ থেকে দূরে রাখে। কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।

শিশুদের মধ্যে মনোঃসংযোগ বাড়াতে চাইলেও এই সব ফল খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এই সব ফল মানসিক স্থিতি বর্ধন করতেও সক্ষম।

(Feed Source: news18.com)