RapidX থেকে রাতারাতি NaMo Bharat, উদ্বোধনের আগে নামবদল সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের

RapidX থেকে রাতারাতি NaMo Bharat, উদ্বোধনের আগে নামবদল সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের
নয়াদিল্লি: একদিন পরই উদ্বোধনের কথা। তার আগেই সেমি-হাইস্পিড ট্রেন RapidX-এর নামবদল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম এবং পদবীর আদ্যাক্ষর অনুযায়ী ট্রেনের নয়া নাম হল NaMo Bharat. শুক্রবারই দেশের প্রথম আঞ্চলিক সেমি-হাইস্পিড ট্রেনটি উদ্বোধন করার কথা। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর নামেই নামকরণ হল ট্রেনটির।

আঞ্চলিক ক্ষেত্রে দ্রুতগতির পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করতে Regional Rapid Transist System (RRTS) প্রকল্পের সূচনা করেছে ভারত। এক শহর থেকে ১৫ মিনিয়ে যাতে অন্য শহরে পৌঁছে যায়, শহর এবং গ্রামের মধ্যে দূরত্ব ঘোচানো যায়, প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর যাতে পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে সংযুক্ত করার পরিকল্পান গৃহীত হয়েছে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানায়, সাহিবাবাদ থেকে দুহাই পর্যন্ত প্রথম আঞ্চলিক সেমি-হাইস্পিড ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন মোদি। আর তার পরই নয়া নামকরণের ঘোষণা হল। বিষয়টি সামনে আসতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘নমো স্টেডিয়ামের পর এবং নমো ট্রেন। আত্মমগ্নতার কোনও সীমা নেই দেখছি’। কংগ্রেস নেতা পবন খেরার বক্তব্য, ‘ভারত রাখারই বা দরকার কী? দেশের নাম বদলে নমো রাখলেই একেবারে মিটে যায়’।

এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, বর্তমানে যে ট্রেনগুলি রয়েছে, তার চেয়ে ঢের উন্নত এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেন। আরামদায়ক বসার আসন রয়েছে তাতে, রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।  তাই বলে মেট্রোর মতো নয়। বরং কম সময়ে বেশি দূরত্ব পাড়ি দেওয়া এবং যাত্রাপথ আরামদায়ক করে তুলতেই এই নয়া ট্রেন। এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতেই পরীক্ষা হয়েছে, তাতে সিলমোহর দিয়েছে রেলের বোর্ডও। তবে রেললাইনের উপর দিয়ে যখন যাত্রী নিয়ে ছুটবে, ট্রেনের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। কিছু কিছু জায়গায় ১৬০ পর্যন্ত গতি তোলা যাবে।

ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এমনিতে সড়কপথে ১৭ কিলোমিটার দূরত্ব পার করতে এমনিতে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময় লাগে। সেমি-হাইস্পিড এই ট্রেনে সময় লাগবে মাত্র ১২ মিনিট। এই ট্রেনের জন্য ৩০ হাজার কোটি খরচ করে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মেরঠ করিডর গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই কাজ সম্পূর্ণ হলে, গাজিয়াবাদ শহর, মুরাদনগর এবং মোদিনগর পেরিয়ে দিল্লি থেকে মেরঠ যেতে সময় লাগবে এক ঘণ্টারও কম।

(Feed Source: abplive.com)