বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে বকুলতলা থানা এলাকা থেকে ধৃত ১

বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে বকুলতলা থানা এলাকা থেকে ধৃত ১
সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে Illegal Arms Recovery) গ্রেফতার এক ব্যক্তি। বকুলতলা থানা (South 24 Parganas Illegal Arms Recoveryএলাকার ঘটনা। ধৃতের নাম সুভাষ মণ্ডল। পুলিশের দাবি, ৩৮ বছরের ওই যুবকের থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল অর্থাৎ বুধবার রাতে বকুলতলা থানার পুলিশ ওই এলাকার জীবনমন্ডলের হাট এলাকা থেকে সুভাষকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার পিস্তল, ১ রাউন্ড কার্তুদ উদ্ধার হয় বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের বক্তব্য, বেআইনি অস্ত্র নিয়ে জীবনমন্ডলের হাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল সুভাষ। কিন্তু কেন? কার থেকে সে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল? সেগুলি দিয়ে কী করার উদ্দেশ্য ছিল তার? গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ রাজ্যের বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রায়ই শিরোনামে আসে, যার পর ফের ফোকাসে চলে আসে বেশ কিছু প্রশ্ন। প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে এই ভাবে খোলামকুচির মতো আগ্নেয়াস্ত্র যেখানে সেখানে পৌঁছোচ্ছে কী ভাবে? নেপথ্য়ে কি অন্য কোনও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে? উত্তর দেওয়ার কেউ নেই। শুধু আতঙ্ক বাড়ে সাধারণ মানুষের।

বার বার এক ঘটনা…
গত মাসের মাঝামাঝি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। সে বার ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকায় বাড়ি থেকে অস্ত্র মিলেছিল। একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারও হয় সেখান থেকে। পুলিশের দাবি, বোমা তৈরির সরঞ্জামও মিলেছিল। ধৃতরা আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত, অভিযোগ করে তৃণমূল। সেই অভিযোগ মানেনি আইএসএফ। বস্তুত. পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা অত্যন্ত পরিচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যেমন গত জুন মাসে মালদার গঙ্গা নদীর ঘাট এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩টে আগ্নেয়াস্ত্র ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় একজনকে। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞসাবাদ করে উঠে আসে, সে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুলিশের ধারণা ছিল, বেআইনি বিক্রির উদ্দেশেই  ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্য়ে আনা হয়েছিল অস্ত্রগুলি। তার আগে, মে মাসে এক রাতের মধ্য়ে ২ জেলায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে ৬ জন। সেই অভিযানে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশনে অভিযান চালিয়েছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। উদ্ধার হয় ৩টি 7.65 mm পিস্তল,১৪ রাউন্ড গুলি, ৬টি ফাঁকা ম্যাগাজিন। এসটিএফ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের একজন বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। অপর ২ জন নওদা ও হরিহরপাড়ার বাসিন্দা। মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিল এক অস্ত্র কারবারি। মুর্শিদাবাদ থেকে ২ জন সেই অস্ত্র কিনতে এসেছিল। কাটোয়া স্টেশনে যখন অস্ত্র উদ্ধারের মুর্শিদাবাদ কানেকশন উঠে আসছে, তখন মুর্শিদাবাদেরই সামশেরগঞ্জেও মেলে বেআইনি অস্ত্র। ধৃতদের কাছ থেকে ২ টি পিস্তল,২টি ম্যাগজিন ও গুলি মেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, মালদা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ায় যাচ্ছিল ৩ যুবক।

(Feed Source: abplive.com)