দেশে ফিরলেই কি গ্রেফতার হবেন ‘পলাতক’ নওয়াজ শরিফ? বড় রায় পাকিস্তানের আদালতের

দেশে ফিরলেই কি গ্রেফতার হবেন ‘পলাতক’ নওয়াজ শরিফ? বড় রায় পাকিস্তানের আদালতের

দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নওয়াজ শরিফের দেশে ফেরা নিয়ে পাকিস্তানে প্রচুর জলঘোলা হচ্ছে। এই আবহে চারবছর পর ফের পাকিস্তানের মাটিতে নওয়াজ পা রাখলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছে সেদেশের এক আদালত। উল্লেখ্য, বিগত চারবছর ধরে লন্ডনে ছিলেন পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। তবে শনিবার তাঁর দেশে ফেরার কথা। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, জেলে ফিরলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তবে তাঁকে রক্ষাকবচ দিল সেদেশের একটি আদালত। আগামী বছরের নির্বাচনের আগে দেশে ফিরে ফের একবার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে চাইছেন নওয়াজ শরিফ। শনিবার লাহোরে একটি জনসভায় ভাষণও রাখবেন নওয়াজ।

নওয়াজ শরিফের আইনজীবী আজম নজির তরার বলেন, ‘নওয়াজ শরিফকে জামিন দিয়েছে আদালত। এই আবহে ২৪ অক্টোবর নওয়াজ শরিফ আদালতে পেশ না হওয়ার আগে পর্যন্ত পুলিশ কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না তাঁর বিরুদ্ধে।’ এদিকে নওয়াজের আইনজীবী আরও জানান, ২০১৮ সালের যে মামলায় নওয়াজ দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আবেদন করবেন। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের শুরুর দিকেই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। তার আগে নাটকীয় ভাবে ২০২২ সালে ইমরান খানের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরিফ। পরে ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে সেদেশের ক্ষমতায় আসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এখন সেই সরকারই দেশ চালাচ্ছে। এই আবহে নওয়াজ শরিফকে রক্ষাকবচ দেওয়ায় আদলতের সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শেহবাজ।

এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় শেহবাজ দাবি করেন, ভুলভাল ভাবে নওয়াজ শরিফকে জালিয়াতি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দু’টি পৃথক দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফকে দোষী সাব্যস্তব করা হয়েছিল। ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল নওয়াজ শরিফকে। যদিও গোড়া থেকেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছিলেন নওয়াজ। পরে ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য নওয়াজকে লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তানি আদালত। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বন্ডে সই করে লন্ডনে গিয়েছিলেন নওয়াজ। তবে দেশে সময় মতো না ফেরায় নওয়াজকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছিল। নওয়াজের দাবি, সেনা কর্তাদের সঙ্গে মন কষাকষির জেরেই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত কর হয়েছিল ২০১৭ সালে। প্রসঙ্গত, গত বছর নিজের গদি হারিয়ে ইমরানও এই একই অভিযোগ করেছিলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সেনা প্রধান পরভেজ মুশারফের সঙ্গে মতভেদের জন্য গদি হারিয়েছিলেন নওয়াজ। দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। পরে ২০০৭ সালে ফের একবার পাকিস্তানে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। এবারও তিনি ফিরে এেন পাকিস্তানে। লড়তে চান নির্বাচনে।

(Feed Source: hindustantimes.com)