জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার মরুদেশেও বাজল আলোর বেণু’র সুর। আশ্বিনের নয়, কার্তিকের হেমন্তপ্রাতে শুরু হল শারদীয়া উৎসব। এবার মরুদেশ দুবাইতেও শারদীয়ার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল।
দুবাইতে ন’টি পরিবার একসঙ্গে মেতে ওঠে এখানকার শারদীয়াকে ঘিরে। পাঁচদিন ধরে ন’টি পরিবার একসঙ্গে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে পুজোর আয়োজনে। পুজোর সমস্ত নিয়ম-কানুনের পাশাপাশি থাকে খাওয়া-দাওয়া,গান-আড্ডা। আর এর সব কিছুতেই ছিটকে পড়ে বাঙালিয়ানার আলো। আসলে এই পুজোর মধ্যে দিয়ে কলকাতার ঘরোয়া সাবেকিয়ানাকে ধরে রাখার চেষ্টাই করছেন এর আয়োজকেরা।
এই পুজোর ধরন-ধারণ পুরনোদিনের যৌথ পরিবারের কথা মনে করিয়ে দেয়। পরবর্তী প্রজন্ম, যাঁদের এখানেই জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা,তাঁদের মধ্যেও এই শারদীয়ার সাবেকিয়ানা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন পূ্র্ববর্তীরা। পরবর্তী কালে নতুনরাই তো এ পুজোর দায়িত্ব নেবেন। তখন তাঁরা যাতে পুজোটির অন্তরের সুর ও বার্তাটিকে আগামী দিনে সুষ্ঠু ভাবে বহন করে নিয়ে যেতে পারে সেজন্যই এই চেষ্টা।
দুবাইয়ের এই শারদীয়া উৎসবের বয়স অবশ্য বেশি নয়– পাঁচ বছর। এখানে যায় কুমোরটুলির প্রতিমা, সাজসজ্জা হয় শোলার। সপ্তমী তিথি মেনে এখানে যথারীতি হয় কলাবৌ স্নান। পালন করা হয় অন্যান্য সমস্ত বিধিও। সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন থাকেই। এবারেও আছে, আর সব মিলিয়ে এভাবেই দুবাইয়েও এবার বাজতে শুরু করল শারদোৎসবের সুর।
এখানে সপ্তমীতে কলা বৌ স্নানের পরে দেবীমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাড়ির মহিলারা লালপেড়ে শাড়ি পরে নবপত্রিকা স্নান করালেন আজ। ন’টি পরিবারের এই উৎসবের জন্য প্রায় সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন সকলে। ‘দুবাই শারদীয়া’র পক্ষে অমরেশ মজুমদার জানান, মরুদেশের এ-পুজোয় আয়োজন করা হয় কুমারী পুজোরও।
(Feed Source: zeenews.com)