সতীর্থকে যৌন হেনস্থার দায়ে এক বছরের জেল বাঙালি শাটলারের

সতীর্থকে যৌন হেনস্থার দায়ে এক বছরের জেল বাঙালি শাটলারের

শুভব্রত মুখার্জি: খেলাধুলার জগতে যৌন হেনস্থার ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। ভারতীয় খেলাধুলার জগতেও এই সমস্যা একেবারে ক্যান্সার রোগের মতন নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র কয়েকমাস আগেই এই একরকম ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল দিল্লির রাজপথ। অলিম্পিক গেমসে পদকজয়ী কুস্তিগীররা তীব্র আন্দোলনে নেমেছিলেন এই এক ইস্যুতে। সেবার অভিযোগ ছিল ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ শর্মার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ফের আরও একটি খারাপ ঘটনার রেশ এসে পড়ল ভারতীয় ক্রীড়ার জগতে। এবারের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেল হল বাঙালি এক শাটলারের।

আলমোরার এক কোর্টের তরফে জেলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাঙালি শাটলারকে। এখানেও ঘটেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। এক সতীর্থের হাতেই নিগৃহীত হতে হয়েছে আরেক সতীর্থকে। ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালে। চার বছর আগে ঘটে যাওয়ার ঘটনার রায় বেরিয়েছে সম্প্রতি। আর তাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অরিন্তপ দাশগুপ্ত। আর দোষ প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার পরেই আদালতের তরফে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে অরিন্তপকে। দীর্ঘদিন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার লড়াই চালিয়ে ও শেষ রক্ষা করতে পারেননি অরিন্তপ। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গেই। পশ্চিমবাংলার এক নাবালিকা শাটলারকে যৌন হেনস্থার দোষে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অরিন্তপ।

এই মামলার ডিফেন্স আইনজীবী পুরান সিং কায়দা জানিয়েছেন, ‘আলমোরার স্পেশাল সেশন কোর্টের বিচারক কৌশল কিশোর শুক্ল অরিন্তপ দাশগুপ্তকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে জরিমানাও করা হয়েছে। ২৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে অরিন্তপকে।’ ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই নাবালিকা তাঁর কোচের সঙ্গে আলমোরাতে আসেন এক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে। সে দিনেই যখন সব শাটলাররা কোর্টে খেলছিলেন সেই সময়ে অরিন্তপ বারবার ওই নাবালিকাকে বার্তা পাঠিয়ে দেখা করার জন্য জোর দেন। তবে ওই নাবালিকা দেখা করেননি। এরপর যখন ওই নাবালিকা গেস্ট হাউসে যাচ্ছিলেন তখন দাশগুপ্ত তাঁকে আটকান। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর দাশগুপ্ত জোর করে ওই নাবালিকার ঘরে ঢুকে যান। সেখানেই তিনি নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করেন। কলকাতায় ফেরার পরে ওই ঘটনা নাবালিকা তার বাবা মাকে জানান। তারপরেই আইনি পদক্ষেপ নেন তারা।

(Feed Source: hindustantimes.com)