এনকাউন্টারের আশঙ্কায় আজম: পুলিশের গাড়িতে বসতে অস্বীকৃতি, বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে আবেগপ্রবণ বড় ছেলে আদিব

এনকাউন্টারের আশঙ্কায় আজম: পুলিশের গাড়িতে বসতে অস্বীকৃতি, বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে আবেগপ্রবণ বড় ছেলে আদিব

আজম খান ও আবদুল্লাহ আজম রামপুর জেল থেকে সীতাপুর ও হারদোই যাচ্ছেন।
– ছবি: সম্বাদ

দুটি জন্ম সনদের মামলায় আদালত সাত বছরের কারাদণ্ডের পর কারাগারে পাঠানো আজম খান ও আবদুল্লাহ আজমকে অন্য জেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আজম খানকে রবিবার সীতাপুর এবং আবদুল্লাহ আজমকে হারদোই জেলে পাঠানো হয়েছে। রামপুর কারাগার থেকে স্থানান্তরের আগে তাদের দুজনেরই ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।

সীতাপুর ও হারদোই জেলে পাঠানো হয়েছে

এরপর কড়া নিরাপত্তায় আলাদা গাড়িতে করে সীতাপুর ও হারদোই জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই নেতাকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার মধ্যে বিকেল পাঁচটার দিকে তাদের দুজনকে রামপুর কারাগার থেকে বের করে আনা হয়। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় আজম বলেছিলেন যে তার মুখোমুখি হতে পারে।

পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে

বলেন, ভোরে জেল থেকে সরে যাওয়ার মানে কী। দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। আজম পুলিশের গাড়িতে বসতে রাজি হননি। এতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারাও কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যান। বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেন আজম।

মাকে জড়িয়ে ধরে

এর আগেও আজম তার জীবনের হুমকির কথা জানিয়েছিলেন। এর আগে শনিবার বড় ছেলে আদিব আজম রামপুর কারাগারে পৌঁছে বাবা আজম খান, মা তাজিন ফাতমা ও ভাই আবদুল্লাহ আজমের সঙ্গে দেখা করেন। মাকে জড়িয়ে ধরতেই দুজনের চোখে জল।

প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা বৈঠকে তিনি বেশ কয়েকবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আদালতের রায়ের পর তিনজনই রামপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। রবিবার আজম ও আবদুল্লাহকে সীতাপুর ও হারদোই জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। রামপুরের মহিলা ব্যারাকে এখন তাজিন ফাতমা একা।

তাজিন ফাতমা বিচ্ছিন্ন

আইসোলেশনে থাকা তাজিন ফাতমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। আজমের বড় ছেলে আদিব আজম তার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে এসেছিলেন। সূত্রের মতে, তিনি প্রায় 45 মিনিট এখানে অবস্থান করেন এবং এই সময় তিনি কারাগারে তার বাবা, মা এবং ভাইয়ের সাথে দেখা করেন।

এ সময় তিনি মাকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বাবাও তাকে লালন-পালন করতেন। এ সময় তিনি অনেক বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ তাদের কথাবার্তা চলতে থাকে।

(Feed Source: amarujala.com)