কথা দিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের জয়ের পর কথা রাখলেন, রশিদের সঙ্গে নাচলেন ইরফান পাঠান

কথা দিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের জয়ের পর কথা রাখলেন, রশিদের সঙ্গে নাচলেন ইরফান পাঠান
চেন্নাই: কথা দিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচের পর সেই কথা রাখলেন। আফগানিস্তানের (Afganistan) জয়ের আনন্দে মেতে উঠলেন ইরফান পাঠানও (Irfan Pathan)। পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে গতকাল ৮ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল আফগান শিবির। এরপর গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। সেই সময়ই সাইডলাইনে ছিলেন ইরফান পাঠান। তিনি ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই মুহূর্তে। রশিদ খান পাঠানকে দেখেই দৌড়ে এগিয়ে আসেন। এরপর ২ জনই ভাঙড়া নাচতে শুরু করে দেন। পেছনে ছিলেন আফগান শিবিরের বাকি প্লেয়াররা। তাঁরা সবাই হাততালি দেন। পাঠান নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ”রশিদ খান নিজের কথা রেখেছেন। আমি আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেছি।”

বিশ্বকাপে (ODI World Cup) ফের অঘটন। নেপথ্যে, ফের আফগানিস্তান। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে যারা ক্রিকেটবিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এবার বধ পাকিস্তান। তাও ৮ উইকেটে। কার্যত একপেশেভাবে। এবারের বিশ্বকাপে ‘জায়ান্ট কিলার’ তকমাটাও নিজেদের জার্সির পিঠে সেঁটে নিয়েছেন হাশমাতুল্লাহ শাহিদিরা।

ম্যাচের প্রথমার্ধের ছবিটা কিন্তু বেশ আলাদা ছিল। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবর আজ়ম। যিনি নিজে এই ম্যাচে রানের মধ্যে ফিরলেন। আর এমন এক ম্যাচে ছন্দে ফিরলেন বাবর, যা পাকিস্তানের ক্রিকেটে কলঙ্ক বয়ে আনল।

চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের (PAK vs AFG) বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে ৭৪ রান করলেন পাক অধিনায়ক। হাফসেঞ্চুরি ওপেনার আবদুল্লা শফিকেরও। ৫৮ রান করলেন তিনি। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে রান পেলেন শাদাব খান ও ইফতিকার আমেদও। ৩৮ বলে ৪০ রান করলেন শাদাব। ২৭ বলে ৪০ রান ইফতিকার আমেদের। দুজনকেই শেষ ওভারে ফেরান নবীন উল হক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ২৮২/৭।

লক্ষ্য ছিল ২৮৩ রানের। যে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের ওপেনাররাই তুলে দিলেন ১৩০ রান। গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল রহমানুল্লাহ গুরবাজ়কে। পাক বোলিংকে কোণঠাসা করে ফেলার কাজটা শুরু করলেন তিনিই। ৫৩ বলে ৬৫ রান করলেন। সঙ্গী ওপেনার ইব্রাহিম জাদ্রান তুলনামূলকভাবে ছিলেন সংযত। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল। ১১৩ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। ওপেনাররাই জয়ের ভিত গড়ে দেন। যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ম্যাচ বার করে আনেন রহমত শাহ ও আফগান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদি। ৮৪ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রহমত। হাশমাতুল্লাহ ৪৫ বলে ৪৮ রান করে ক্রিজে ছিলেন।  ১ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ আফগানিস্তানের।

(Feed Source: abplive.com)