বিভাজন রুখতে আহ্বান..
দিল্লির দ্বারকায় এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও যে বার্তা দিয়েছেন, তা সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ‘দশ সঙ্কল্প’-এর কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অন্তত একটি পরিবারের জীবনের মানোন্নয়নের দায়িত্ব, জাতপাত এবং আঞ্চলিকতায় পূর্ণচ্ছেদের মতো ‘সঙ্কল্প’ নিতে সাধারণ মানুষকে আর্জি জানান মোদি। বলেন, ‘আজ যেন রাবণ-দহন শুধু কুশপুতুল পোড়ানোর রীতিতেই সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং মা ভারতীকে যে সব শক্তি জাতপাত এবং আঞ্চলিকতার নামে ভাঙতে চাইছে, তাদেরও দহন হয়।’
নির্দিষ্ট করে কারও নাম না করলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, জাতভিত্তিক জনগণনার বিরুদ্ধে আরও একবার বার্তা দিতেই এই অনুষ্ঠান-মঞ্চকে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২ অক্টোবর, গাঁধীজয়ন্তীর দিন, বিতর্কিত জাতভিত্তিক সমীক্ষার বিশদ তথ্য প্রকাশ করেছে বিহার সরকার। সে সময় মধ্যপ্রদেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনও এই নিয়ে একপ্রস্ত সমালোচনা শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেছিলেন, ‘অতীতেও জাতের নামে এই দেশে বিভাজন করেছে ওরা, এখনও একই পাপ করছে। আগে ওরা দুর্নীতি করেছে, এখন আরও বেশি দুর্নীতি করছে।’ জাতপাতের ভিত্তিতে বিভাজনের যে কোনও ধরনের চেষ্টা এক ধরনের ‘পাপ’, এই কথাও তখন শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মুখে। অন্য দিকে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী স্পষ্ট বলে দেন, ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্তদের সংখ্যা জানতে ক্ষমতায় ফিরলে আমরা প্রথমেই জাতভিত্তিক সমীক্ষা করব।’
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সাধারণ নির্বাচনকে মাথায় রেখেই কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ একাধিক দল বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A. জোটে সামিল হয়েছে। কিন্তু সেখানেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরে বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে কী নীতি গ্রহণ করা হবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মোদির বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একাংশের মতে, নাম না করেও এখানে রামজন্মভূমির আন্দোলনের ভাবাবেগের সঙ্গে জাতপাত ও আঞ্চলিকতা-বিরোধী মনোভাব মিলিয়ে দিতে চান শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব।
(Feed Source: abplive.com)