গতবছর ২৪ ফেব্রুয়ারি আচমকাই ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির আপত্তিতে এই হামলা চালানো হয়েছিল। তবে তারপর ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে তা রাশিয়ার সঙ্গে ‘যুক্ত’ করেন ভ্লাদিমির পুতিন। আর এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন করে আসছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, কোটি কোটি ডলারের যুদ্ধ সরঞ্জামও ইউক্রেনকে দিয়েছে আমেরিকা। সেই অস্ত্র এবং ইউক্রেনীয় সেনার অনড় মনোভাবের সামনে তাই বেশি দূর আর এগোতে পারেনি রাশিয়া। বিগত দেড় বছর ধরে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। তবে ‘জয়’ এখনও অধরা। এরই মাঝে বারংবার আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে ইউক্রেনকে সাহায্য করলেও রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি আমেরিকা। তবে গত মঙ্গলবার নাকি রুশ সীমান্তে দেখা গিয়েছে মার্কিন বোমারু বিমান।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাশিয়ার উত্তর এবং দক্ষিণ সীমান্তে দু’টি মার্কিন বোমারু বিমান চলে এসেছিল। সেগুলির সঙ্গে ছিল মার্কিন ড্রোনও। এরপরই সেই বোমারু বিমানকে ‘তাড়াতে’ তড়িঘড়ি যুদ্ধবিমান পাঠায় মস্কো। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার দু’টি বি-১বি বোমারু বিমান বাল্টিক সাগর অঞ্চলে রুশ আকাশসীমার কাছে চলে এসেছিল। অপরদিকে প্রায় একই সময়ে কৃষ্ণ সাগরে রুশ আকাশসীমার কাছে দেখা গিয়েছিল মার্কিন ‘হক’ ড্রোন।
এই আবহে বাল্টিক সাগর এবং কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে একটি করে সুখোই-৩৭ যুদ্ধবিমান পাঠায় রাশিয়া। রুশ যুদ্ধবিমান যেতেই সেখান থেকে নাকি চলে যায় মার্কিন বোমারু বিমান এবং ড্রোন। সাম্প্রতিককালে নাকি একাধিকবার রুশ আকাশসীমার খুব কাছে চলে যাচ্ছে মার্কিন বিমান। এর আগে গত মার্চ মাসে মার্কিন সেনা দাবি করেছিল, কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে একটি মার্কিন ড্রোনের ওপর জ্বালানি ঢেলে দিয়েছিল রুশ বিমান। তারপর ইচ্ছে করে সেই ড্রোনটিকে ধাক্কা মেরেছিল রুশ বিমানটি। এর জেরে মার্কিন ড্রোনটি ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় আমেরিকার দাবি ছিল, আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপরেই মার্কিন ড্রোনটি ছিল। গত মঙ্গলবারও মার্কিন বিমান ও ড্রোন আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপরেই ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
এদিকে এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, গত রবিবার নিজের বাসভবনে শোয়ার ঘরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। পরে ব্রিটেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়। পরে অবশ্য ক্রেমলিন দাবি করে, পুরোপুরি সুস্থ আছেন পুতিন।
(Feed Source: hindustantimes.com)