৪০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা। আরও একটা মিরাক্যাল ছাড়া বিশ্বমানের অজি বোলিং লাইন আপের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা এই ডাচ ব্যাটিং লাইন আপের নেই, তা বলাই যায়। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারানো শুরু করে নেদারল্য়ান্ডস। বিক্রমজিৎ ও ম্যাক্স ওডডের ওপেনিং জুটি বেশি কিছু করতে পারেনি। প্রথমজন ২৫ ও দ্বিতীয় জন ৬ রান করেন। কলিন অকারম্যান ও সিব্র্যান্ড যথাক্রমে ১০ ও ১১ রান করেন। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ১২ রান করে আউট হন। কেউই এদিন রান পাননি। লোয়ার অর্ডার তো দু অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি। অজি বোলারদের মধ্যে অ্যাডাম জাম্পা এদিনও ৪ উইকেট নেন। ৩ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২টো উইকেট নেন মিচেল মার্শ। ১টি করে উইকেট নেন স্টার্ক, হ্যাজেলউড ও কামিন্স।
প্রথম দুটো ম্যাচে হার। আর তারপর থেকে দুরন্ত কামব্য়াক করেছে অস্ট্রেলিয়া (Australia Cricket Team)। তবে মিডল অর্ডারের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা ছিল। কিন্তু নেদারল্য়ান্ডসের (Netherlands) বিরুদ্ধে ম্য়াচে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ব্যাটিং অর্ডার জ্বলে উঠল। সেঞ্চুরি হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অর্ধশতরান হাঁকালেন মিডল অর্ডারের ২ স্তম্ভ স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) ও মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuchange)। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেট ৩৯৯ রান বোর্ডে তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। মার্শ এদিন ভাল শুরু করেও ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে ওয়ার্নার এদিন ফের শতরান হাঁকান। চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ওয়ার্নার ৯৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে। ৩টি ছক্কা হাঁকান। মার্শ ফিরে গেলে স্মিথ ও লাবুশেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ওয়ার্নার। স্মিথ গোটা টুর্নামেন্টে সেভাবে রান পাননি। তবে এদিন ৬৮ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অন্যদিকে লাবুশেন ৪৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। ৭টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে। তবে এরপর বাকিটা ছিল পুরোটাই ম্যাড-ম্যাক্স ঝড়।
(Feed Source: abplive.com)