হাঁফ ছাড়ার ফুরসত নেই তাঁরও। প্রতিমা নিরঞ্জনের আবহেই ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) যে ক্রিকেট বিশ্বকাপের (ODI World Cup) বোধন! অগত্যা সকাল-সন্ধে মাঠেই হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। রেড রোড কার্নিভালে যখন নাচ-গান আলোর খেলা, তখন তিনি মালিদের দিয়ে পিচে জল দেওয়াচ্ছেন।
তিনি সুজন মুখোপাধ্যায়। ইডেন গার্ডেন্সের কিউরেটর। বিশ্বকাপের আগের সন্ধ্যায় যাঁকে পাওয়া গেল তুমুল ব্যস্ততার মাঝে।
চলতি বিশ্বকাপের প্রায় অর্ধেক পর্ব শেষ। তবে ইডেনে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ শনিবার। মুখোমুখি বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। কেমন হবে সেই ম্যাচের বাইশ গজ? ব্যাটাররা দাপট দেখাবেন, নাকি ছড়ি ঘোরাবেন বোলাররা? সুজন বলছিলেন, ‘খুব ভাল উইকেট হবে। সকলের জন্য সাহায্য থাকবে। সমান বাউন্স। বল পড়ে ভালভাবে ব্যাটে যাবে। তাই স্ট্রোক প্লেয়াররা সুবিধা পাবে। বড় রান উঠবে।’
ইডেনের পিচের চরিত্র বদলের অন্য়তম কাণ্ডারি সুজন। একটা সময় ইডেন গার্ডেন্সে সীমিত ওভারের কোনও ম্যাচ মানে প্রচলিত ফর্মুলা ছিল, আগে ব্যাট করে বড় রান প্রতিপক্ষের মাথার ওপর চাপিয়ে দাও। তারপর বিপক্ষ ব্যাটারদের দিকে স্পিনার লেলিয়ে দাও। ম্যাচ যত গড়াবে, বল পড়ে নীচু হবে, ঘুরবে। আর ধুলো ওড়া পিচে কামাল করবেন স্পিনাররা। এমনকী, ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ আইপিএলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ের মূল মন্ত্র ছিল এই তত্ত্ব।
তবে এই ইডেন আর সেই ইডেন নেই। গত বছর ছয়-সাত ধরেই বদলে গিয়েছে বাইশ গজের চরিত্র। এখন ইডেনের পিচে বল পড়ে সাঁই সাঁই ছোটে। ব্যাটাররা নিশ্চিন্তে স্ট্রোকও খেলতে পারেন। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্য়াচেও বড় রানের পিচই হবে, আশ্বাস সুজনের।
কিন্তু শিশির? শেষ অক্টোবরে যা ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারে। সুজন বলছেন, ‘গত তিনদিন শিশির পড়ছে না। তাই মনে হয় না শনিবারের ম্যাচে শিশির খুব একটা ফ্যাক্টর হবে। আমরা অবশ্য সতর্কতা অবলম্বন করব। রাসায়ানিক স্প্রে থেকে শুরু করে যা যা করণীয় করব। তবে পিচের চরিত্র দুই অর্ধে একই থাকবে। তাই টস খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে না।’
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের বোধনের জন্য় তৈরি ক্রিকেটের নন্দনকানন।
(Feed Source: abplive.com)