একই বেঞ্চে ছিলেন দুই বিচারপতি। সেই অবস্থায় এক বিচারপতি অন্য বিচারপতির সঙ্গে ক্ষোভের সুরে কথা বলেন। পরে সেই ঘটনার জন্য সহ-বিচারপতির কাছে ক্ষমা চান ঘটনার কেন্দ্রে থাকা বিচারপতি। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলে ধরা হয় ইউটিউব ভিডিয়োতে। এবার সেই ভিডিয়োকে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। এমনই তথ্য রিপোর্টের।
ইউটিউবে ওই বিচারপতির ক্ষুব্ধ হওয়া এবং পরে তাঁর ক্ষোভ সামলে পাশে থাকা বিচারপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনার ভিডিয়ো ধরা পড়ে। এদিকে, কপিরাইট ইস্যু ঘিরে ওই ইউটিউব চ্যানেলকে নোটিস পাঠিয়েছে কোর্ট। ভিডিয়ো সরানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে। ভিডিয়ো কপিরাইট বিধি লঙ্ঘন ঘিরে ওই ইউটিউব চ্যানেলকে নোটিস পাঠিয়েছে কোর্ট। উল্লেখ্য, ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই গুজরাটের হাইকোর্ট পদক্ষেপ করে। কোর্টের তরফে ওই নোটিস আসার পরই একাধিক ওয়েবসাইট থেকে ওই ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলা হয়। সেখানে লেখা থাকে,’ গুজরাট হাইকোর্টের কপিরাইট দাবির কারণে আর উপলব্ধ নেই’। এদিকে, হাইকোর্ট তার আর্কাইভ থেকে বিচারকের ক্ষোভের ক্লিপটিও নামিয়েছে। তবে, তার ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও এখনও কোর্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২৩ অক্টোবর। অক্টোবরের শেষে এক মামলা চলাকালীন বিচারপতি মোনা ভাট এবং বিচারপতি বৈষ্ণব উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে দেখা যায়। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো হয় ভাইরাল। বচসা চলে মামলার রায় কী হবে তা নিয়ে। সেই থেকেই বেঞ্চে দুই বিচারপতি বচসায় লিপ্ত হন। এরপর একজন বিচারপতির সঙ্গে আরেকজন বিচারপতির বচসা দেখা যায়। ঘটনার ভিডিয়ো আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইউটিউবে সেই ভিডিয়ো দেখা যায়। ইউটিউবে তা আসতেই হয় ভাইরাল। এদিকে, ওই তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর একজন বিচারপতি অন্য জনেক কাছে ক্ষমা চান। সেই দৃশ্যও দেখা যায়। মামলার রায়ে মতের ফারাক নিয়ে চলে বচসা। পরবর্তীকালে, বিচারপতি বৈষ্ণব হঠাৎ বেঞ্চ ছেড়ে চলে যান, এই বলে যে আদালত অন্য কোনও মামলার শুনানি করবে না। বুধবার, বিচারপতি বৈষ্ণব একটি খোলা আদালতে তার সহকর্মী বিচারকের কাছে ক্ষমা চান।
(Feed Source: hindustantimes.com)