অভিনয় জগতে পা রেখেছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু তখনও অনেকখানিই ছোট্ট ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত কন্যা। গত কয়েকবছরে বদলে গিয়েছেন অনেকখানিই। সেই মিষ্টি মেয়েটা থেকে এখন ‘হট বেব’। সম্প্রতিই নিজের গোয়া ভ্রমণের ছবি শেয়ার করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা আপাতত এখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
বিকিনি থেকে শর্টস, একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন সারা ইনস্টাগ্রামে। ভাবছেন কার সঙ্গে গেছিলেন যিশু-কন্যা। একেবারে শেষ ছবিতে দেখা মিলল মা-বাবার সঙ্গেই মজেছিলেন ছুটির মেজাজে। যিশু, নীলাঞ্জনা, আর জারা-র দেখাও পাওয়া গেল সারা-র ছবিতে।
২০০৪ সালে বিয়ে করেন যিশু আর নীলাঞ্জনা। তাঁদের দুই কন্যা, সারা আর জারা। সারাকে প্রথম দেখা গিয়েছিল পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিনেমা উমাতে ২০১৮ সালে। এরপর হাঁটেন মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের বিপরীতে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে। ক্রিশ্চিয়ান ডিওর মডেল হিসাবে করেন র্যাম্প ওয়াক। ওই শো-তে প্রথমবার র্যাম্পে হেঁটেছিলেন বলিউড অভিনেতা অর্জুন রামপালের মেয়েও।
সেই ছবি সারা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতেই গর্বে বুক ফুলেছিল বঙ্গবাসীর। সৃজিত তাঁর খুদে অভিনেতা, যদিও এখন সে আর খুদে নেই, প্রশংসা করে লিখেছিলেন, ‘আমার ছোট্ট উমা! ক্রিশ্চিয়ান ডিয়োরের মডেল হিসাবে মনোনীত হয়েছে! বিশ্বের এত মডেল যে জায়গায় আসার জন্য প্রতীক্ষা করে থাকে, সেখানে আমাদের উমা। কী অসাধারণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে সে হাঁটল র্যাম্পে। সবটাই করেছে নিজের চেষ্টায়। আমি গর্বিত, গর্বিত গর্বিত!!!’
সারার গোয়া ভ্যাকেশনের ছবিতে মুগ্ধ নেটপাড়া। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘তুমি যত বড় হচ্ছ, পুরো মায়ের মতো দেখতে হচ্ছ। আমি ওঁর বড় ভক্ত।’ আপরজনের মন্তব্য, ‘আমার টলিউডের সবচেয়ে প্রিয় পরিবার’। তৃতীয় জনের মন্তব্য, ‘তোমাকে ওয়াও লাগছে। কী সুন্দরী। চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে।’
কাজের সূত্রে, যিশুর শেষ বাংলা ছবি দশম অবতার ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। পুজোয় মুক্তি পাওয়া চারটে ছবির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবিখানা। সঙ্গে যিশু অবশ্য এখন দক্ষিণেও চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। সম্প্রতিই মুখ ফসকে বলে বসেন, ‘আমি না গুড হাজব্যান্ড না ভালো বাবা। কারণ পরিবারকে যতটা সময় দেওয়া উচিত আমি দিতে পারি না।’ যদিও কারণটাও বলেন গুছিয়ে। জানান, নীলাঞ্জনা তাঁকে বলেন, শুধু উপহার দিলেই ভালো বাবা হওয়া যায় না। যদিও যিশুর মতে, সারা এখন নিজের জগত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, কলেজ-পড়াশোনা-বন্ধু বান্ধব। তবে ছোটজন জারাকে সময় দিতে চেষ্টা করেন কাজের ফাঁকে।
(Feed Source: hindustantimes.com)