কাল হল ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট’! এদিকে ১ বছরে অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার থেকে ৬ কোটি

কাল হল ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট’! এদিকে ১ বছরে অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার থেকে ৬ কোটি

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের সময় জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্ট ৪৫ হাজার টাকা রয়েছে। আদালতে জানিয়েছে ইডি৷ তাদের প্রশ্ন, সেই টাকা মাত্র এক বছরে ৬ কোটি টাকা হয়ে যায় কী করে? সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে, যেখানে থাকা টাকার মোট অঙ্ক প্রায় ১৬ কোটি টাকা৷ গোটা বিষয়ের শিকড়ে পৌঁছতে ডিজিটাল এভিডেন্সকে হাতিয়ার করছে ইডি।

ইডি-র হাতিয়ার এবার হোয়াটস্যাপ চ্যাট! এই হোয়াটস্যাপ চ্যাট আর সাক্ষীর বয়ানে কি বিপদে পড়তে চলেছে মন্ত্রী জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক? ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রীকে ৬৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। বাকিবুর ও তাঁর এক ঘনিষ্ঠ কর্মীর হোয়াটস্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি থেকেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবি ইডি সূত্রের।

সূত্রের খবর, ওই কর্মী ইডির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান দিয়েছেন। ইডি সূত্রে খবর, ২০২০ সালে ১৯ জানুয়ারি এই হোয়াটস্যাপ চ্যাট হয় বাকিবুর ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মীর মধ্যে। সেই হোয়াটস অ্যাপ তথ্যই হাতে এসেছে ইডির গোয়েন্দাদের। অন্যদিকে, জানা গিয়েছে বাকিবুরের কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক। বাকিবুরের নির্দেশে ১২ লক্ষ টাকা জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিককে দেওয়া হয়েছিল।

ইডির দাবি, জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিকের স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে ৬.০৩ কোটি এবং মেয়ের অ্যাকাউন্টে ৩.৭৯ কোটি টাকা ঢুকেছিল। ওই টাকা ২০১৬ সালে স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্ট ও ২০১৭ সালে মেয়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল।

এই বিপুল টাকার উৎস কী? কোথা থেকে এল এত কোটি কোটি টাকা? তদন্তে ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্তে চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ কোটি টাকা ২টি সংস্থার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। ওই দুই সংস্থার ঠিকানাই বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জায়গার। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, জানিয়েছেন জোত্যিপ্ৰিয়ের নির্দেশেই সেই টাকা ওই দুই সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল।

(Feed Source: news18.com)