সর্পদষ্ট বন্ধু! রাগের মাথায় এ কী করে বসলেন এই ব্যক্তি! জানলে শিউরে উঠবেন

সর্পদষ্ট বন্ধু! রাগের মাথায় এ কী করে বসলেন এই ব্যক্তি! জানলে শিউরে উঠবেন

তেলেঙ্গনাঃ বন্ধুকে সাপে ছোবল দিয়েছিল। রাগের চোটে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন এক ব্যক্তি। একেবারে পলিথিনের ব্যাগে মুড়ে বন্ধুর সঙ্গেই সাপটি নিয়ে গেলেন হাসপাতালে। এমন কাণ্ড দেখে হইহই পড়ে যায় ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে। ঘটনাটি তেলঙ্গানার ভদ্রাদ্রি কোঠাগুডেম জেলার ভদ্রাচলম শহরের সরকারি হাসপাতালে।

জানা গিয়েছে, ভদ্রাচলম এলাকার হাসপাতালে সব সময়ই ভিড় থাকে। ভিড়ে ঠাসা হাসপাতালে সাপ নিয়ে হাজির হন এক ব্যক্তি। রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খানিকটা হতচকিত হয়ে যান চিকিৎসক এবং উপস্থিত চিকিৎসাকর্মীরাও।

সাপ নিয়ে হাসপাতালে আসা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, তাঁর বন্ধুকে সাপে কামড়েছে। তাঁর দাবি, সাপটি দেখলে প্রতিষেধক পেতে সুবিধা হবে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা চলছে।

এ দিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় আতঙ্কে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাপ এমন একটি প্রাণী যে আদতে নিরীহ। কিন্তু কিছু সাপের বিষের কারণে সমস্ত সাপকেই মানুষ ভয় পায়। সাধারণ সাপকে উত্যক্ত না করলে সাপ কাউকে দংশন করে না। অনেক সময়ই দেখা যায় অসচেতন অবস্থায় সাপের শরীরে পা দিয়ে ফেললে সর্প দংশনের শিকার হয় মানুষ।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সাপ বিষাক্ত, কিন্তু কোন সাপ বিষাক্ত, কোন সাপ নয়, তা আমরা সকলে জানি না। দেখলেও চিনতে ভুল হতে পারে। তাই সব সময় সতর্ক থাকাই ভাল। ভয় পাওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু আতঙ্কগ্রস্ত হয়েও মানুষ নিজের বিপদ বাড়ায়। অনেক সময়ই দেখা যায় সর্পদষ্ট হওয়ার পর আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে সাপের কামড়ে মৃত্যু রোধ করা যায় সর্বাংশে।

সাপের দংশন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ঃ

সতর্ক থাকতে হবে। অন্ধকারে খালি পায়ে না চলাই ভাল। বিষধর সাপের কামড়ে দংশন ক্ষেত্রে দু’টি ছিদ্র তৈরি হয়। সামান্য রক্তবিন্দু দেখা যায়। বিষহীন সাপের কামড়ে ক্ষত তৈরি হতে পারে। অনেকে ওই অংশ চিরে দেওয়ার চেষ্টা করেন, অনেকে বাঁধেন, তাতে হিতে বিপরীতই হয়। এই সময় কিছু খাদ্য বা পানীয় না গ্রহণ করাই ভাল।

ওই অংশ জল দিয়ে ধুয়ে যত শীঘ্র সম্ভব নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে আক্রান্তকে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিতে হবে। সব থেকে বড় বিষয় হল, আক্রান্তকে মনোবল জুগিয়ে যেতে হবে।

(Feed Source: news18.com)