USA Nuclear Bomb: হিরোশিমার ৭৮ বছর পর আরও মারাত্মক পরমাণু বোমা বানাচ্ছে আমেরিকা, এবার ধামাকা ২৪ গুণ বড়

USA Nuclear Bomb: হিরোশিমার ৭৮ বছর পর আরও মারাত্মক পরমাণু বোমা বানাচ্ছে আমেরিকা, এবার ধামাকা ২৪ গুণ বড়

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার তুলনায় ২৪ গুণ বেশি শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, পেন্টাগন এই প্রোগ্রামের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চাইছে, যার লক্ষ্য B61 পারমাণবিক মহাকর্ষ বোমার একটি আধুনিক রূপ তৈরি করা, যার নাম হবে B61-13।

মহাকাশ নীতির সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব জন প্লাম্ব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকের ঘোষণা পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিবেশ এবং সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের ক্রমবর্ধমান হুমকি প্রতিফলিত করে’। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার একটি দায়িত্ব রয়েছে যে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের যে সক্ষমতা প্রয়োজন তা মূল্যায়ন করা এবং প্রয়োজনে কৌশলগত আক্রমণের জবাব দেওয়া এবং আমাদের মিত্রদের আশ্বস্ত করা’।

B61-13 কতটা শক্তিশালী হবে?

নতুন বোমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা হবে ৩৬০ কিলোটন। যেখানে হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার ধারণক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোটন। B61-13 হবে নাগাসাকিতে ফেলা বোমার থেকে প্রায় ১৪ গুণ বড়, যা ছিল ২৫ কিলোটন।

পেন্টাগনের তরফে প্রকাশিত একটি তথ্যের কাগজ অনুসারে, শক্তিশালী নতুন বোমাটি ‘B61-12-এর উন্নত সুরক্ষা এবং নির্ভুলতার বৈশিষ্ট্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে’।

বোমা কোথায় ব্যবহার করা হবে?

আধুনিক বিমান এবং রিলিজ নোটগুলি নতুন বোমা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রুদের এবং বৃহত্তর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আরও বেশি আঘাত করার নতুন বিকল্প ব্যাবস্থা দেবে।

অনুমোদিত হলে, বোমাটি আমেরিকার মোট পারমাণবিক অস্ত্র সম্ভার বৃদ্ধির পরিবর্তে এগজিস্টিং মার্কিন পরমাণু মধ্যে মধ্যে কিছু B61-7 বোমাকে প্রতিস্থাপিত করবে।

চিন এবং রাশিয়ার সঙ্গে বাড়তে থাকা সমস্যা

পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই নতুন খবর এসেছে। এটি ‘বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি’ নামে পরিচিত। রাশিয়া এই মাসের শুরুতে চুক্তির অনুমোদন প্রত্যাহার করে। এরফলে রাশিয়ারর পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পথ পরিষ্কার হয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেভাদায় একটি পারমাণবিক পরীক্ষা সাইটে একটি উচ্চ-বিস্ফোরকের পরীক্ষাও চালায়, যা দুই শক্তির মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল ‘মার্কিন পারমাণবিক সম্প্রসারণ লক্ষ্যের সমর্থনে নতুন প্রযুক্তি বিকাশের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া’।

(Feed Source: zeenews.com)