মেলেনি পুনর্নবীকরণের অনুমোদন, অনিশ্চয়তার মুখে বাংলার ২৫০টি বিএড কলেজ

মেলেনি পুনর্নবীকরণের অনুমোদন, অনিশ্চয়তার মুখে বাংলার ২৫০টি বিএড কলেজ

বর্তমানে পড়ুয়াদের মধ্যে বিএড পড়ার চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ছেলে মেয়ে বিএড করে থাকেন। কিন্তু, এরই মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের বিএড কলেজগুলির পুনর্নবীকরণের দিন শেষ হচ্ছে আগামীকাল ৪ নভেম্বর। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিএড কলেজ পুনর্নবীকরণের অনুমতি পায়নি। এর ফলে ওই বিএড কলেজগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।জানা গিয়েছে, এই ধরনের বিএড কলেজের সংখ্যা ২৫০টি। এরকম হলে পড়ুয়ারা  ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন কলেজগুলির কর্তৃপক্ষ।

বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত কলেজগুলিকে পুনর্নবীকরণের অনুমোদন দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কেন দেওয়া হচ্ছে না সে প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের (এনটিসিই) নিয়ম অনুযায়ী, বিএড কলেজগুলিতে পড়ুয়া এবং শিক্ষকের অনুপাত বজায় রাখতে হয়। সেটা না থাকলে সে ক্ষেত্রে বিএড কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয় না। এখন যে সমস্ত কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি সেই সমস্ত কলেজে পড়ুয়ার তুলনায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। সেই কারণে তাদের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

যদিও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঠগোড়ায় তুলেছে কলেজগুলি। তাদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী বিএড কলেজে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের দিন ঠিক করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ইন্টারভিউয়ের জন্য আবেদন জানিয়েছে। তা সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ের জন্য কোনও তারিখ দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়। এই অবস্থায় শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পুনর্নবীকরণের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে কলেজগুলি। রাজারহাটের একটি বিএড কলেজ ৩ বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ইন্টারভিউয়ের তারিখ চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কোনও তারিখ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে মোট ৬০০টি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি বিএড কলেজ রয়েছে ২৪ টি। এখন এই বেসরকারি কলেজগুলির মধ্যে ৩৫০টি কলেজ ইতিমধ্যেই শর্ত পূরণ করেছে। তাদের পুনর্নবীকরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বাকি ২৫০টি কলেজ শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এই সমস্ত কলেজগুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা কম। সেই কারণে পুনর্নবীকরণের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি এই বিএড কলেজগুলি শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের জন্য সময় চায়নি। এখন পুনর্নবীকরণের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে ইন্টারভিউয়ের জন্য সময় চাইছে। এই অবস্থায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন  বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

(Feed Source: hindustantimes.com)