কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের চাকরি-প্রার্থীদের জন্য বড় খবর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরও একটি তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই তালিকায় মেধা তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীদের কোন সময় কাউন্সেলিং হবে এবং কোন চাকরি প্রার্থীর কখন কাউন্সেলিংয়ের সময়, তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় চাকরিপ্রার্থীদের নাম, তাদের রোল নম্বর, মেধাতালিকার কোন জায়গায় তারা রয়েছে, তাদের প্রাপ্ত নম্বর কত…বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
চাকরি প্রার্থীরা মেধা তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারেন, তার জন্যই এই তালিকা প্রকাশ এসএসসির, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। তার আগেই চাকরিপ্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য এসএসসির ওয়েবসাইট মারফত জানিয়ে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যেতেই কোন কোন স্কুলে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ রয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিক মিশন। বিষয় ভিত্তিক তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি মাধ্যম ও সংরক্ষণকে মাথায় রেখেই এই তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। ১১৪৭ পাতার তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত স্কুলের নাম, ঠিকানা, কোন বিষয়ে শূন্যপদ, যাবতীয় বিষয়ের বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
স্কুলের কোড নম্বর দেওয়া হয়েছে ওই তালিকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যের পর থেকেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ওয়েবসাইটে চাকরিপ্রার্থীদের কল লেটার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তার সঙ্গে কোন বিষয়ে কবে কাউন্সেলিং, তার সময়সীমা স্কুল সার্ভিস কমিশন ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছে।চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর দেওয়া পাশাপাশি দিতে হচ্ছে আধার নম্বরও। নতুন করে ছবিও আপলোড করতে হচ্ছে কল লেটার পাওয়ার জন্য। যেহেতু এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাই ফের চাকরিপ্রার্থীদের তথ্য যাচাই করে নিতে চাইছে কমিশন এই কল লেটার নেওয়ার আগে এসএসসি। তার জন্যই কল লেটার ডাউনলোড করার আগে আরও কয়েক দফা যাচাই পর্ব চলছে।
অন্যদিকে, উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য আসা চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং করলেও রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশ পত্র দেওয়া যাবে না। তার বদলে এসএসসি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুপারিশ পত্র বা রেকমেন্ডেশন লেটার না দিতে পারলেও দেওয়া হবে সম্মতিপত্র। এই মর্মে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় মেধা তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের পছন্দমত স্কুল বেছে নিতে পারবেন। কিন্তু আগামী দিনে যখন সুপারিশপত্র দেওয়ার সবুজ সংকেত আসবে তখন যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্যই এই সম্মতিপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএসসি। সম্মতিপত্রের একটি প্রতিলিপি থাকবে প্রার্থীর কাছে, অন্যটি থাকবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে। তাতে লেখা থাকবে কোন প্রার্থী কোন স্কুল বাছাই করেছেন বা কোন স্কুল চয়েজ করেছেন।
বৈধতা বা সেই সম্মতিপত্রের আগামী দিনে বৈধতা প্রমাণের জন্য প্রার্থীর ও এসএসসির আধিকারিকদের স্বাক্ষর থাকবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই সম্মতিপত্রের ভিত্তিতেই সুপারিশ পত্র দেবে এসএসসি। এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘পরবর্তী ক্ষেত্রে হাইকোর্টের অনুমতি পেলে সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও ভুলভ্রান্তি না হয় তার জন্য কোন প্রার্থী কোন স্কুল বাছাই করবেন তার প্রমাণ হিসেবে এই সম্মতিপত্র দেওয়া হবে।’
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে মোট শূন্যপদ ১৪৩৩৯। তার জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ৬ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশন বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছে বিষয়ভিত্তিক কাউন্সেলিংয়ের দিন ধরে ধরে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হচ্ছে।
(Feed Source: news18.com)