কলকাতা: আগে ক্লাচ না কি আগে ব্রেক? গাড়ি চালানো শেখার সময় এটা ঠিক করতে গিয়েই ঘেমেনেয়ে একশা অবস্থা হয়। কোনটা আগে ব্যবহার করা উচিত জানার জন্য ক্লাচ কী, সেটা বুঝতে হবে। ব্রেকের ব্যবহার তো সবাই জানে।
ক্লাচ চাকা থেকে গিয়ারবক্সকে আলাদা করে দেয়। চাকা ইঞ্জিনের সাপেক্ষে স্বাধীনভাবে চলতে পারে। যদি কেউ ক্লাচ ব্যবহার না করে গাড়ি থামাতে চান, তাহলেও গাড়ি থামবে।
কিন্তু এতে ইঞ্জিন, ক্লাচ এবং ট্রান্সমিশনের ক্ষতি হবে। তাহলে ব্রেক কষার সঠিক পদ্ধতি কোনটা? এখানে আলাদা আলাদা চারটি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হল।
গতি কম হলে প্রথমে ক্লাচ তারপর ব্রেক:
গাড়ি যে গিয়ারে রয়েছে, তার গতি কম হলে প্রথমে ক্লাচ তারপরে ব্রেকে চাপ দিতে হবে। অ্যাক্সেলারেটর ব্যবহার না করে যে গতি ওঠে সেটাই গিয়ারের সর্বনিম্ন গতি। সাধারণত ট্রাফিক থাকলে বা বেশি বাম্পারে এভাবে গাড়ি চালানো হয়।
ধরা যাক, চালক জানেন যে তাঁর গাড়ির ফার্স্ট গিয়ারের সর্বনিম্ন গতি প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিমি। এখন তিনি ৮ কিমি প্রতি ঘণ্টায় যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে গাড়িকে থামাতে হলে প্রথমে ক্লাচ, তারপর ব্রেক কষতে হবে।
আচমকা গাড়ি থামাতে হলে ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে:
একমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে একসঙ্গে ক্লাচ এবং ব্রেক কষা হয়। গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি না করে ব্রেক কষার এটাই সর্বোত্তম উপায়। হঠাৎ যদি গাড়ির সামনে কেউ চলে আসেন, তখন ক্লাচ এবং ব্রেক একসঙ্গে চেপে গাড়ি থামাতে হবে।
গতি বেশি হলে প্রথমে ব্রেক তারপর ক্লাচ:
গতি বেশি হলে প্রথমে ব্রেক কষতে হবে, তার পরে ক্লাচ। গাড়ির গতি গিয়ারের সর্বনিম্ন গতিতে চলে এলে ব্রেক ব্যবহার করা যায়। যাতে গাড়ি পুরো থেমে না যায়। ব্রেক কষতে শুরু করলেই গাড়ির গতি কমতে থাকবে। গতি ঘণ্টায় ১৫ কিমির নিচে নেমে গেলে স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময় ক্লাচ টিপতে হবে।
গতি কমাতে চাইলে শুধু ব্রেক:
শুধু গাড়ির গতি কমাতে চাইলে ব্রেক ব্যবহার করলেই হবে। ক্লাচ ব্যবহারের দরকার নেই। যেহেতু গতি গিয়ারের সর্বনিম্ন গতি বেশি, তাই শুধুই ব্রেকের ব্যবহার হওয়া উচিত।