রবিবার ভারতীয় সেনার স্পিয়ার কর্পসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে লেখা হয়, ‘ভারতীয় সেনার স্পিয়ার কর্পসের যোদ্ধারা, দেশের প্রথম দেশীয় হামলাকারী রুদ্র হেলিকপ্টার থেকে আধুনিক প্রজন্মের রকেট এবং গোলা ছুড়ল। পার্বত্য এলাকায় এর কার্যকারিতা এবং তীব্রতা পরীক্ষা করে দেখা হল’। (Rudra Helicopter)
সোশ্যাল মিডিয়ায় ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা। তাতে উড়ানের প্রস্তুতি থেকে রকেট-গোলার পরীক্ষা, প্রতিটি মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। উত্তর-পূর্বের পার্বত্য এলাকায় এদিন অস্ত্রশস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হয়। যে হেলিকপ্টার থেকে অস্ত্রশস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হল, সেটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম আক্রমণকারী হেলিকপ্টার।
#Spearcorps warriors, #IndianArmy, fired the New Generation Rocket & Turret ammunition from #Rudra– The First Indigenous Attack Helicopter. The efficacy of the platform augments the strike capability & lethality in mountains. Corps Commander complimented the #Aviators on their… pic.twitter.com/VcQAtCeIZA
— SpearCorps.IndianArmy (@Spearcorps) November 5, 2023
ধ্রুব হেলিকপ্টারের সশস্ত্র সংস্করণ এই রুদ্র হেলিকপ্টার, যা যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করতে তৈরি করা হয়েছে। হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স লিমিটেড এই রুদ্র হেলিকপ্টার তৈরি করেছে। এর নকশা থেকে সরঞ্জাম, সবকিছুই ভারতে তৈরি। দিনে-রাতে যে কোনও সময়, যে কোনও অবস্থান থেকে শত্রুপক্ষের উপর অব্যর্থ আঘাত হানতে সক্ষম এই কপ্টার।
ভারতীয় সেনা এবং বায়ুসেনার চাহিদা পূরণ করতেই এই রুদ্র হেলিকপ্টারটি তৈরি করা হয়। এই কপ্টারের ওজন প্রায় ৫.৮ টন। শত্রুপক্ষের সাঁজোয়া গাড়ি, সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করতে এবং পদাতিক বাহিনীকে গোলাগুলি ছুড়ে সহযোগিতা করতেই এই কপ্টার তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শত্রুপক্ষের উপর নজরদারি চালানোরও সহায়ক রুদ্র হেলিকপ্টার।
HAL-এর ওয়েবসাইটে হেলিকপ্টার দুদ্র-র কার্যক্ষমতাকে ‘চমৎকার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সমতল থেকে পার্বত্য অঞ্চল, বেশি উচ্চতায় উড়ানে সক্ষম এই কপ্টার। ৭০ মিলিমিটারের রকেট প্রযুক্তি, ২০ মিলিমিটারের গোলা ছোড়ার বন্দুক এবং আকাশপথে ধাবমান ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের প্রযুক্তি বসানো রয়েছে এই কপ্টারে।
(Feed Source: abplive.com)