২০১৪’র টেট পরীক্ষার্থীদের মাথায় হাত, জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে স্থগিতাদেশ SC-র

২০১৪’র টেট পরীক্ষার্থীদের মাথায় হাত, জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে স্থগিতাদেশ SC-র

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ভুল ছিল ৬টি প্রশ্ন। এই আবহে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, সব পরীক্ষার্থীকেই যেন ৬ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টে সেই রায় স্থগিত করা হল গতকাল। এদিকে এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, পর্ষের সভাপতি এবং সচিবকে নোটিশ পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর আগে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভুল প্রশ্নের অভিযোগ নিয়ে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মামলাকারীদের নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ বহাল রেখেছিল। পরে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, ২০১৪ সালে কারচুপি হয়েছিল। উত্তরপত্রও নেই।

২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়েছিল, সেই বছরের টেট নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে। ওএমআর শিট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র কে কত নম্বর পেয়েছিল, সেই তথ্যই আছে। তবে আদতেই সেই পরীক্ষার্থী তত নম্বর পেয়েছিলেন কি না, তার প্রমাণ নেই। এরকমও হয়েছে যে অনেকেই সেই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন এবং তার জন্যে নম্বর দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ফলে কোনও কোনও পরীক্ষার্থী একই প্রশ্নের জন্যে দু’বার করে নম্বর পেয়ে যেতে পারেন। এদিকে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা সবাই চাকরি পাননি। এই আবহে নম্বর বেড়ে যদি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ে, তাতে প্রতিযোগিতাও বাড়বে।

এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। এদিকে শীর্ষ আদালতে শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ এখনও কার্যকর করেনি তারা। তথ্য বলছে, ২০১৪ সালে ১২ লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাশ করেছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে থেকে এখনও দুই দফায় চাকরি পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৫০০ জন। প্রায় ৬০ হাজার টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী এখনও চাকরি পাননি। এদিকে ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। ২০২২ সাল থেকে ১১ হাজার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে এরপরও বহু পাশ করা পরীক্ষার্থী বেকার হয়ে বসে থাকবেন। এই আবহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে টেট উত্তীর্ণের সংখ্যা বাড়লে চাকরি পেতে গিয়ে আরও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হবে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের।

(Feed Source: hindustantimes.com)