নেইমারের বান্ধবী ব্রুনার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, সদ্যোজাতকে অপহরণের চেষ্টা

নেইমারের বান্ধবী ব্রুনার বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, সদ্যোজাতকে অপহরণের চেষ্টা

চোটের জন্য বর্তমানে মাঠের বাইরে রয়েছেন নেইমার। আল হিলালের হয়ে এএফসি চ্যাম্পয়ন্স লিগেও খেলতে পারছেন না তিনি। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে খেলতে ভারতে আসার কথা ছিল নেইমারের। কিন্তু চোটের জন্য তিনি ভারতে আসতে পারেননি। কিন্তু এই সবের মধ্যেই ঘটল ভয়াবহ ঘটনা। জানা গিয়েছে সাও পাওলোর মেট্রোপলিটনের কোটিয়াদে থাকেন বান্ধবী ব্রুনা। আর তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। এমনকী সদ্যোজাতকে অপহরন করার চেষ্টাও করা হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। শুধু তাই নয়, শোরগোল পড়ে গিয়েছে ফুটবল মহলে।

জানা গিয়েছে ব্রাজিলিয় সময় মঙ্গলবার ভোরের দিকে ব্রুনার বাড়িতে প্রবেশ করেন তিন জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। সেই বাড়িতে থাকা সদস্যদের বারবার জিজ্ঞাসা করা হয় ব্রুনা এবং সেই সদ্যোজাত কোথায় রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ব্রুনার বাবা ও মায়ের হাত, মুখ বেঁধে লুঠপাটও চালিয়েছে ডাকাত দল। টাকা পয়সার ব্যাগ, ঘড়ি, গয়না নিয়ে তারা চম্পটও দেয়। যদিও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই ডাকাতির কিনারা করে ফেলেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, সেই তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন সেখানকারই বাসিন্দা। যেই গাড়িটি করে তারা ব্রুনার বাড়িতে আসেন তারা, সেটি সেই অঞ্চলের এক বাসিন্দার। তারপরই সেই গাড়ির মালিককে আটক করে ডেকে পাঠানো হয় থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর গাড়ির মালিক জানান, সেই গাড়িটি তিনি তাঁর পুত্রকে দিয়েছেন। এরপরই সেই প্রতিবেশীর পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, সেই তরুণ স্বীকার করে নেন, তিনি ডাকাতি করার চেষ্টা করেছেন। তবে কী উদ্দেশ্যে ডাকাতির চেষ্টা করেছিলেন তিনি, তা খোলসা করেনি সাও পাওলো পুলিশ। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠেছে।

নিজের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রুনা জানিয়েছেন, ‘আমি এখনও ওই বাড়িতে থাকেন না। আমার মা এবং বাবা ওই বাড়িতে ছিলেন। তাদের গুরুতর কোনও আঘাত লাগেনি। ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমরা সবাই ভালো আছি। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সকলেই ধরা পড়েছে।’ যদিও এই ঘটনা নেইমরারে কানে পৌঁছয়নি। এই ডাকাতির ঘটনায় ব্রুনার মা এবং বাবা কোনও গুরুতর আহত হননি। তবে নিরাপত্তা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছেই।

(Feed Source: hindustantimes.com)