জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরও প্রায় দুশোর মতো ত্রাণবাহী ট্রাক পৌঁছল গাজায়। গতকাল বুধবার ১৮৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক ফের পৌঁছল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায়। এর আগে গাজায় ত্রাণবাহী ১০৬টি ট্রাক ঢুকেছিল। আগের বার জরুরি সহায়তাসামগ্রী নিয়ে ট্রাকগুলি মিসর থেকে রাফা সীমান্ত দিয়েই অবরুদ্ধ প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে ঢুকেছিল, এবারেও তাই ঢুকল। প্যালেস্টাইনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে এক বার্তায় এই খবর জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছে, ত্রাণের পাশাপাশি কুয়েত থেকে আনা পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্সও গাজায় পৌঁছেছে।
প্যালেস্টাইনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও জানিয়েছে, গত ২১ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এই নিয়ে ৭৫৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করল। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এ-ও কম। এইসব ট্রাকে রয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী। গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি অবশ্য দেওয়া হয়নি। অবরুদ্ধ গাজায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। ইজরায়েল গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর এখনও পর্যন্ত মহিলা ও শিশু-সহ প্রায় ১১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
যুদ্ধ-পরিস্তিতিতে মানবিক সাহায্য জারি রেখেছে রাষ্ট্রসংঘ। জল, খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে এই সব ট্রাক মিশর থেকে রাফা সীমান্ত দিয়ে অবরুদ্ধ প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে ঢুকছে।
ত্রাণকর্মীরা বলেছেন, চাহিদার তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ কম। হাজার হাজার মানুষ খাদ্য-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষমাণ। জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে তাঁরা রাষ্ট্রসংঘের গুদামগুলিতে এসে ভিড় করেন। কিন্তু প্রয়োজনমতো জিনিস না পেয়ে একসময়ে তাঁরা মরিয়া হয়ে ওঠেন বলে খবর।
৭ অক্টোবর ইজরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অনবরত হামলা চালায় ইজরায়েল। এই আক্রমণের ফলে গতকাল, রবিবার পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৮০০৫ জন প্যালেস্টাইনি, আহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি। এই তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জানা গিয়েছে, এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে পড়ে রয়েছে প্রায় হাজার দেহ! গাজার পশ্চিমতীরেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। সেখানেও নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শতাধিক! অন্য দিকে, ইজরায়েলে হামাসের হামলায় এখনও পর্যন্ত নিহত প্রায় ১৫০০ জন। এঁদের মধ্যে ৩৩১ জন সেনা।
(Feed Source: zeenews.com)