অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজ়িল্যান্ড দলের শুরুটা দুর্দান্তভাবে হয়। দলের দুই তারকা ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রচিন রবীন্দ্র অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। দুইজনে মিলে মাত্র ৭৪ বলে ৮৬ রান যোগ করেন। পাওয়ার প্লেতেই তাঁরা ৭৩ রান যোগ করেন। এখানেই শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। তবে লঙ্কান দল কিন্তু জয়ের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ জেনেও লড়াই করার চেষ্টা করে।
নিউজ়িল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কাটি দেন দুষ্মন্ত চামিরা। দুরন্ত ছন্দে দেখানো কনওয়েকে অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় ৪৫ রানে আউট করেন তিনি। ঠিক তার পরের ওভারেই রচিনকে ৪২ রানে সাজঘরের রাস্তা দেখান থিকসানা। তিনে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ডারিল মিচেলের কাঁধে এরপর ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে। উইলিয়ামসন তেমন স্ট্রাইক না পেলেও, দুরন্ত গতিতে রান করতে থাকেন মিচেল। তবে দুই তারকাকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ়।
উইলিয়ামসন ১৪ রান করেন, মিচেল আউট হন ৪৩ রানে। মার্ক চ্যাপম্যান সাত রানে রান আউট হন। পাঁচ পাঁচটি সাফল্য পায় শ্রীলঙ্কা। তবে তা সত্ত্বেও, দুরন্ত ওপেনিং পার্টনারশিপের পর কোনওসময়ই মনে হয়নি যে শ্রীলঙ্কা লড়াইয়ে ফিরতে পারে। ফলত সহজেই জয় পায় নিউজ়িল্যান্ড।
এই জয়ের সুবাদে নিউজ়িল্যান্ড পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ নম্বরে উঠে এল। তাদের দখলে রয়েছে ১০ পয়েন্ট। কিউয়িদের নেট রান রেট ০.৭৪৩। উইলিয়ামসনদের এই জয়ের সুবাদে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পৌঁছনোর আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল। নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে অন্তত ২৮৭ রানে হারাতে হবে বাবরদের। তাই ফের একবার ২০১৯ সালের মতো ভারত ও নিউজ়িল্যান্ড সেমিফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
(Feed Source: abplive.com)