বিশদ…
প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে যে সংঘর্ষ চলছে তাতে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি প্যালেস্তিনীয়র প্রাণ যায়। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০-র বেশি। ঘটনা হল, ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল ইজরায়েলকে। ১ হাজার ৪০০ জন মারা যান ওই হামলায়, ২৪০ জনকে পণবন্দি করেছিল হামাস। প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটে ইজরায়েল। তার পর থেকে টানা হামলার জেরে বিধ্বস্ত গাজা। সঙ্গে রয়েছে ইজরায়েলের অবরোধ। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির চাপে গাজায় ত্রাণের প্রবেশে মৌখিক ভাবে রাজি হলেও তা যে প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য, সে কথা বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই সতর্কবার্তায় কান দেয়নি ইজরায়েল। বুধবার গাজার বৃহত্তম শহরের বাসিন্দারা জানান, তাঁরা শুনতে পাচ্ছেন ইজরায়েলি সেনাবাহিনী একেবারে কাছে এসে পড়েছে। ফলে দুদ্দার করে দক্ষিণ দিকে পালাতে শুরু করেছেন তাঁরা। কেউ খালি পায়ে, কারও হাতে সামান্য জামাকাপড়, কারও আবার সেটুকু নেই। সংবাদমাধ্যম সূত্রে গাজা স্ট্রিপের বড় অংশে জলের অভাব। কিন্তু সাধারণ অবস্থাতেই যেখানে গাজার বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জল থাকে না, সেখানে ভিটেহারা হওয়ার পর, এই যুদ্ধের আবহে দিন গুজরানের ন্যূনতম জিনিসপত্র তাঁরা কোথায় পাবেন? প্রতিবেশি দেশগুলির আশঙ্কা, ভয়ঙ্কর ভাবে শরণার্থী সমস্যা বাড়বে তাদের উপর।
শুধু গাজা নয়, পাশাপাশি ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে রামাল্লার আমারি শিবিরেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে। বস্তুত, ইজরায়েলের দাবি, তারা হামাসের তৈরি ১৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে পেরেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের যে তুমুল ভোগান্তি, তার কী হবে? সংঘর্ষবিরতি নিয়ে চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের উপর।
আক্রমণ আমেরিকার…
এদিকে বুধবার সিরিয়ার পূর্বপ্রান্তে একটি অস্ত্রাগারে আকাশপথে হামলা চালায় মার্কিন যুদ্ধবিমান। আমেরিকার যুক্তি, মার্কিন আধিকারিকদের আক্রমণের জবাবেই এই হামলা। ওই অস্ত্রাগারের সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলেও দাবি তাদের। আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদদের ধারণা, ইরানকে পশ্চিম এশিয়ার সংঘর্ষ থেকে দূরে রাখতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে ওয়াশিংটন-তেহরান।
(Feed Source: abplive.com)