দেশের দু’টি সবচেয়ে জনপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – আইআইটি এবং আইআইএম-এর থেকে পাশ হওয়া পড়ুয়া প্রতি বছরই কোটি কোটি টাকার প্যাকেজের চাকরি পেয়ে থাকেন। তবে ইন্দোরের একটি কলেজ থেকে পাশ করেই ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্যাকেজের চাকরি পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন সাহিল আলি নামক এক মেধাবী পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, সাহিল আলি ইন্দোরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনাল স্টাডিজ থেকে ৫ বছরের সমন্বিত এমটেক কোর্স করেছেন। এই বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্লেসমেন্ট সেশনের সময় নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানি তাঁকে ১.১৩ কোটি টাকার প্যাকেজ দিয়ে চাকরির প্রস্তাব দেয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সাহিলকে দেওয়া ১.১৩ কোটি টাকার প্যাকেজটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ছাত্রের পাওয়া সর্বোচ্চ প্যাকেজ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৬৩ লাখ টাকার। এই আবহে সাহিলের এই অনন্য কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সমস্ত শিক্ষক, কর্মচারীদের বুক গর্বে ফুলিয়ে তুলেছে। জানা গিয়েছে, এই প্যাকেজ পেতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন সাহিল। প্লেসমেন্টের আগে বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টার্নশিপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর কাজের মৌলিক দিকগুলির ওপর তিনি কাজ করেন এবং নিজের কর্মক্ষমতা বাড়ান। এই আবহে সাহিলের সাফল্য প্রমাণ করল যে ভালো প্যাকেজের চাকরি পাওয়ার জন্য আইআইটি এবং আইআইএম-এর দিকে দৌড়ানোর দরকার পড়ে না। একজন পড়ুয়ার দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই বড় যেকোনও কোম্পানি তাঁকে চাকরি দিতে পারে।
সাহিল এই কৃতিত্ব তাঁর বাবা-মা এবং তাঁকে গাইড করা শিক্ষকদের উৎসর্গ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্লেসমেন্ট ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নেদারল্যান্ডসের অ্যাডিয়েন থেকে চাকরির প্রস্তাব পাওয়ায় তাঁর সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়। তাঁর লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুসারে, তিনি বর্তমানে আমস্টারডামের অ্যাডিয়ানে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। তিনি এর আগে পাইথন সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন এবং গ্রীনডেক নিয়ে কাজ করার জন্য ক্রেড-এ ইন্টার্নশিপ করেছিলেন। তাঁর লিঙ্কডইন বায়ো বলছে – তিনি সবসময় সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আগ্রহী। বায়োতে, সাহিল লিখেছেন – ‘আমার আবেগ হল উপযোগী ডেটা এবং অ্যালগরিদমগুলির সাহায্যে ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান করা। প্রযুক্তির সঙ্গে যে স্টেকহোল্ডাররা যুক্ত নয়, তাঁদের কাছে জটিল ধারণাগুলি সহজ ভাবে তুলে ধরতে চাই আমি।’
(Feed Source: hindustantimes.com)